27 C
Dhaka
Saturday, October 18, 2025

এসএসসি পরীক্ষায় বড় পরিবর্তন, থাকবে না জিপিএ

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অবসান হচ্ছে জিপিএ যুগের। ২০২৬ সাল থেকে এর বদলে নতুন ৭টি সূচকে করা হবে মূল্যায়ন। যেসব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে, তাদের মূল্যায়নও একইভাবে হবে। এতে লিখিত অংশের ওয়েটেজ থাকবে ৬৫ শতাংশ বাকি ৩৫ শতাংশ হবে কার্যক্রমভিত্তিক।

একটা সময় ম্যাট্রিকুলেশন এক্সাম বদলে হয় সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট এক্সাম। আর সেসব পরীক্ষার মূল্যায়নে আসে পরিবর্তন। ডিভিশনের ফলাফল পদ্ধতি বদলে হয় সিজিপিএ।

চলতি সময় নতুন শিক্ষাক্রমের, পরিবর্তন এসেছে মূল্যায়নেও। এখন থেকে সাতটি সূচকে ফলাফল পাবে শিক্ষার্থীরা। সবার ওপরের ধাপ অনন্য, আর সর্বনিম্ন স্তর প্রারম্ভিক। রিপোর্ট কার্ডে শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক শিখনকালীন মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন দুটোই উল্লেখ থাকবে।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষিকার আপত্তিকর টিকটক, ডুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, একজন শিক্ষার্থী ৭০ শতাংশ শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করলে সে ওখানেই ফেল করবে। দুটার বেশি বিষয়ে বিকাশমান পর্যায় আছে তাকেও আমরা অনুত্তীর্ণ বলছি। যে একটা বিষয়ে প্রারম্ভিকে আছে তাকেও আমরা অনুত্তীর্ণ বলছি। ফেল করার যেমন শর্ত আছে তেমনি পাশ করার ক্ষেত্রেও কিছু কিছু আছে এমনিতেই পাশ, কিছু কিছু আছে শর্ত সাপেক্ষে পাশ।

বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষার সময়ও। সর্বোচ্চ ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অর্থাৎ একটি স্কুল দিবস। এতে লিখিত অংশের ওয়েটেজ থাকবে ৬৫ শতাংশ, বাকি ৩৫ শতাংশ হবে কার্যক্রমভিত্তিক।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী পোস্টার বানায়, দেয়ালিকা তৈরি করে সেগুলো সবগুলোই তার মূল্যায়নের অংশ। সেগুলো থেকে তার একটা মার্কিং হয় শিখনকালীন মূল্যায়ন।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৪ নেতার পদত্যাগ

এছাড়া শিক্ষার্থীকে ৬ মাস পরে একবার বা বছর শেষে একবার যে মূল্যায়নটা করা হয় সারাবছরেরটাকে নিয়ে সেটাকে আমরা বলি ষামষ্টিক মূল্যায়ন। ষামষ্টিক মূল্যায়নের সময়ও তাকে এরকম কিছু এক্সপেরিয়েন্স দেয়া হয়, এখানে সে কিছু কাজ করে কিছু লিখে। এই দুটোকে মিলিয়েই ওই ৩৫ শতাংশ ও ৬৫ শতাংশ ওয়েটেজে তাকে মূল্যায়ন করা হয়।

তবে এই অধ্যাপক বলেন, নতুন এই মূল্যায়নের প্রতিটি সূচকই ইতিবাচক মনে হওয়ায়, এটি বুঝতে খাবি খেতে পারেন অংশীজনরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান বলেন, এটার প্রভাব পড়বে কমিউনিটিতে। প্রথমত বাবা-মা এরপর জব সেক্টরে। তাদের সঙ্গে কি আপনি বসেছেন, তাদের সঙ্গে কি আপনার কথা হয়েছে? তারা কি এটা মেনে নিয়েছেন? এই সমস্যাগুলো আগেই কিন্তু সমাধান করে ফেলা প্রয়োজন ছিল। নামকাওয়াস্তে তারা কিছুটাতে করেছে। এটা কিন্তু কোটি কোটি মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করে না। এখন আবার বলছে পাইলটিং, আমরা এটা ঠিক করে নেব। আপনি বাচ্চাদের তো গিনিপিগ বানাতে পারেন না।

আরও পড়ুনঃ  শতভাগ জিপিএ-৫ পেল যশোরের জাফরীয়া মাদ্রাসা

বলেন, শিক্ষাক্রম চালুর পর প্রস্তুতি ঘাটতিতে, বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামেন অভিভাবকরা। তাই মূল্যায়ন চালুর সময় জরুরি ছিল অংশীজনদের মতামত নেয়া।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ