30.4 C
Dhaka
Wednesday, June 25, 2025

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে পেটানো কে এই যুবক

বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লার বিরুদ্ধে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।

ভাইরাল ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে চড়-থাপ্পড় মারছেন শাওন মোল্লা। এ সময় এক পথচারী শাওন মোল্লাকে বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন তিনি। এরপর সদর থানার পুলিশ সদস্য আলমগীর হোসেন এসে শাওন মোল্লাকে সরিয়ে দেন।

আরও পড়ুনঃ  কারিনার পাগলপ্রায় পরিস্থিতি! সাইফকে কো*পানোর ভিডিও প্রকাশ্যে

ভিডিওতে আবদুর রশিদকে বলতে শোনা যায়, আমি কখনো আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে ছিলাম না। কোনো দুর্নীতি করিনি। যদিও এ সময় শাওন মোল্লা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। একজন বয়স্ক মানুষকে মারধরের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, একজন বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে এমনটা না হলে ভালো হত। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তার জন্য আইন আছে। বিষয়টি দুঃখজনক।

আরও পড়ুনঃ  আ.লীগ-ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন সমন্বয়ক

তবে বরগুনা জেলা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়া, তার সুপারিশে কয়েকজন বিএনপির নেতার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়েও ক্ষিপ্ত ছিলেন শাওন মোল্লা।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। সেখানে ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ আরও অনেক উপস্থিত ছিল। আমাকে শাওন ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে নানা ভাষায় গালাগালি করে। সেখানে অনেক লোক ছিল। আমি এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিব।

আরও পড়ুনঃ  মেধা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোটা: আয়মান সাদিক

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়ে শাওন মোল্লা বলেন, আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। পরে তার সঙ্গে আমার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাকে আমি মারধর করি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ