32.1 C
Dhaka
Wednesday, June 25, 2025

“২ দিন আ.লীগের মিছেলে গিয়ে ৪ মাস পালিয়ে আছি”

সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নিজেদের রক্ষা করতে আত্মগোপনে চলে গেছেন। কেউ আছেন দেশে, কেউ দেশের বাইরে। অনেকে আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ অবস্থায় দলের কর্মী-সমর্থক ও ছোট ছোট নেতারা পড়েছেন বেকায়দায়। হামলা মামলার ভয়ে তারা বাড়িঘরে থাকতে পারছেন না। বাইরে থাকা অনেকে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে। কেউ কেউ আছেন আর্থিক সংকটে।

তবে রাজনীতি করা নয় শুধু সমর্থন করেই পালিয়ে আছেন বগুড়া জেলার একাধিক ব্যাক্তি। অভিযোগ, জীবনে রাজনৈতি না করেও মামলা ও হুমকি দেয়া হচ্ছে তাদের।

আরও পড়ুনঃ  যদি মুহি শিবির হয়ে থাকে তাহলে শিবির ভালো

বগুড়ার স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নিমাই ভট্টাচার্য বিডি২৪লাইভ কে জানান,জীবনে রাজনীতি করিনি ভাই শুধু ২ দিন সর্মথনে মিছিলে ছিলাম। আজ ৪ মাস পালিয়ে।জানি না কবে ফিরবো।

জানা যায়, সরকার পতনের পর হটাৎ করেই বগুড়াবাসীর ক্ষোপ জমেছে সাবেক নেতাকর্মী সহ সমর্থনকারীদের উপরেও। যার ফলস্বরূপ এখনো পালাতক চারশত জনেরও বেশি।

এর আগে, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে হেলিকপ্টারযোগে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও কেন্দ্রীয় অনেক নেতার খোঁজ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কেউ কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  সৌদি*গামী কর্মীদের মেনিনজাইটিস টিকা লাগছে না

এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন দলকে শক্তিশালী করা যায়নি, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। অনেকে আবার দলের সিনিয়র নেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতার ভাষ্যমতে, রাজনীতিতে উত্থান-পতন রয়েছে। এক দল সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলাম। এখন ক্ষমতায় নেই। দেশের যে পরিস্থিতি, সেজন্য অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে নেতাকর্মীরা আবার মাঠে নামবেন। এখন নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করা উচিত নয়। নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ