হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় মোবাইল ফোনে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে
কথা বলার জেরে রানু আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বাবা।
এ অভিযোগে তার বাবা মঈন উদ্দিনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২২ জানুয়ারি) উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নে ঘনশ্যামপুর গ্রামে।
মঈন উদ্দিন ঘনশ্যামপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৮ বছর পর জামায়াতের সম্মেলন, লক্ষাধিক জমায়েতের প্রস্তুতি
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবীর হোসেন জানান, রানু পঞ্চম শ্রেণির পর লেখাপড়া ছেড়ে মায়ের কাজে সময় দিত। সম্প্রতি মোবাইল ফোনে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে থাকে রানু।
ফোনে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে
অতিরিক্ত কথা বলতে দেখে মেয়েকে বারণ করেন মঈন উদ্দিন। তারপরও রানু কথা বলতে থাকে।
এনিয়ে বুধবার দুপুর ২টার দিকে বাবা-মেয়ের ঝগড়ার একপর্যায়ে মঈন উদ্দিন খেঁজুর গাছ কাটার দা দিয়ে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার একেএম সালিমুল হকসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সন্ধ্যায় ঘনশ্যামপুর থেকেই মঈনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেন আরও জানান, রানুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে