আধিপত্ব বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদী সদরে বাড়িতে ডুকে ইউপি সদস্য ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত ইউপি সদস্য আমির হোসেন আলোকবালী গ্রামের আব্দুল হক মিয়ার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং আলোকবালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানায়, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং আলোকবালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার জব্বর,আমিরুল, আলী, ইমরান, তারা, জালাল, শাহাদাৎ ও দেলুদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর নিহত আমির হোসেন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
সম্প্রতি তার ভাই বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন। মঙ্গলবার দুপুরে প্রবাস ফেরত ভাইকে দেখতে বাড়ি যান তিনি। এই খবর জানতে পারে প্রতিপক্ষের লোকজন। দুপুরে নিহত আমিরের প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। পরে তাকে ঘর থেকে বাহিরে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার ও স্বজনদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নদীতে কচুরিপানার জট থাকায় হাসপাতালে নিতে দেরি হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান স্বজন ও স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের ভাই মো. সোরাব জানান, আমার বিদেশ ফেরত ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসে বড় ভাই আমির হোসেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে আসে অর্তকিত ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। এতে তার মৃত্যু হয়। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, আধিপত্য নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনা তদন্ত করছে।