26.7 C
Dhaka
Friday, July 4, 2025

ইরানের ওপর আবারও আঘাত হানল যুক্তরাষ্ট্র

টানা ১২ দিনের তীব্র সংঘাত শেষে এই মূহুর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে। এই সংঘাতের শেষ দিকে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে বসেছিল যুক্তরাষ্ট্রও। অবশ্য, আবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততাতেই কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। তবে, ইরানকে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে এখনও চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে ইরানের ওপর আবারও এক আঘাত হেনেছে দেশটির সরকার; তবে এবারের আঘাতটা বাণিজ্যের ওপর। 

বিজ্ঞাপন
ইরানের তেল নির্ভর বাণিজ্যকে ধাক্কা দিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়ের নতুন নিষেধাজ্ঞাটি জারি হয়েছে বিশ্ববাজারে ইরানের তেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীর ওপর। খবর রয়টার্সের। 

আরও পড়ুনঃ  বৃষ্টির মধ্যেই আবহাওয়া অফিসের দুঃসংবাদ

এ নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, তেহরানের রাজস্বের উৎসের ওপর আমাদের চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে ইরানি শাসকগোষ্ঠীর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কার্যক্রমে অর্থায়নে ব্যাঘাত ঘটানো হবে।

বিজ্ঞাপন
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরান থেকে কোটি কোটি ডলারের জ্বালানি তেল ক্রয় ও পরিবহন করা হচ্ছে। এতে জড়িত আছে ইরাকি-ব্রিটিশ ব্যবসায়ী সালিম আহমেদ সাইদ পরিচালিত একাধিক প্রতিষ্ঠানের একটি চক্র। ওই ব্যক্তি অন্তত ২০২০ সাল থেকে এই কাজ করে আসছেন বলে মার্কিন প্রশাসন জানতে পেরেছে।

বেসেন্টের কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়, সাইদের প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের তেল ইরাকের তেলের সঙ্গে মেশানো হয়। ভুয়া নথি ব্যবহার করে এগুলোকে ইরাকের তেল হিসেবে ইরাক বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশের কাছে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ১২ বছরে প্রশ্নফাঁস হয়নি, দাবি পিএসসির

উল্লেখ্য, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ব্যাহত করা এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সশস্ত্রগোষ্ঠীর জন্য তেহরানের অর্থায়ন বন্ধ করতে দেশটির ওপর আগে থেকেই একগাদা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে মার্কিন প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

গত বছর রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জ্বালানি তেল বিক্রির গোপন চক্রের মাধ্যমে বছরে অন্তত একশ কোটি মার্কিন ডলার আয় করছে ইরান। এমনকি, ২০২২ সাল থেকে ইরাকে তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও ফুলেফেঁপে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন
নতুন আদেশে কয়েকটি তেলবাহী জাহাজের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো গোপনে ইরানি তেল পরিবহনে যুক্ত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। এতে করে ইরানের তথাকথিত শ্যাডো ফ্লিটের (গোপনে তেল বহনে নিযুক্ত নৌবহর) ওপর চাপ আরও বাড়ল।

আরও পড়ুনঃ  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দেশের ৩ দৈনিক পত্রিকা

এ ছাড়া, তেহরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রাণাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আল-কারদ আল-হাসান ও এর কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের মতে, ওই ব্যক্তিরা কোটি কোটি ডলার মূল্যের লেনদেন করেগোপনে সহায়তা করেছে হিজবুল্লাহকে।

এসব নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মার্কিন ভূখণ্ডে থাকা সম্পদ জব্দ করতে পারবে দেশটির প্রশাসন। এ ছাড়া, তাদের সঙ্গে মার্কিনিরা কোনও ব্যবসা করতে পারবে না।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ