31 C
Dhaka
Saturday, July 5, 2025

ইউনূস সরকারের ছুটির ঘণ্টা বাজছে : রনি

সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, দিল্লি ও কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলো ড. ইউনূসের সর্বনাশ ঘটানোর জন্য তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ড. ইউনূসকে অসহায় বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু ড. ইউনূসের স্বপক্ষে কথা বলার জন্য দুই-একজন ইউটিউবার ছাড়া কেউ নেই।

তিনি বলেন, ‘দিল্লি ও কলকাতার প্রচারমাধ্যম অনবরত তাকে বরখাস্ত করছে, ছুটি দিচ্ছে, তার বিদায়ের ঘণ্টা বাজাচ্ছে, তার জায়গায় শেখ হাসিনাকে বসাচ্ছে; আর নিত্যনতুন মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে।

বাস্তবতা হলো—তাদের এই মিথ্যা কথা, যুক্তি ও উপস্থাপনা অনেকেই বিশ্বাস করছে। এতে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করছে। যা রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রার জন্য বিরাট হুমকি।’
বৃহস্পতিবার ‘ইউনূস সরকারের ছুটির ঘণ্টা! কলকাতা-দিল্লি থেকে সমানে বাজছে! আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন!’ শিরোনামে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক বিশ্লেষণে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  সমন্বয়কদের কোন্দলে নরসিংদীতে সভা না করেই ঢাকা ফিরলেন সারজিস

সাবেক এ সংসদ সদস্য আরো বলেন, ড. ইউনূসের সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকতে চায়? সামনে যে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে সরকার কি আসলেই আন্তরিকভাবে সেই নির্বাচন দিতে চাচ্ছে? ড. ইউনূস তার মদদে যেসব দল তৈরি করেছেন (এনসিপিসহ ৫০ থেকে ৬০টি); যাদেরকে বলা হয় কিংস পার্টি; কিংস পার্টির ফাদার হিসেবে তিনি বড় বড় ৩ থেকে ৪টি দল তৈরি করেছেন। তারা বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মতো এতবড় দল নয়; কিন্তু সারা দেশে তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা আছে। কয়েকটি অভিজ্ঞ ও পুরনো দল এসব কিংস পার্টিকে ডানে থেকে বামে থেকে সাপোর্ট দিচ্ছে। ড. ইউনূসের রাজনৈতিক প্লানের ডানদিকে জাতীয় পার্টি আর বাম দিকে কমউনিস্ট পার্টি।

তিনি বলেন, ‘আমরা পর্দার সামনে দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগের ওপরে খুব জুলুম-অত্যাচার হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- আওয়ামী লীগের অনেক লোক সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে গেছে। তারা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনকে অস্থির করে তুলেছে। একজন তরুণ বিতর্কিত সঙ্গীতশিল্পী বলছিলেন, টাকার চেয়ে আকর্ষণীয় কোনো হিরোইজম নেই। আমাদের বীরত্বের বড় মাপকাঠি হলো টাকা।

আরও পড়ুনঃ  খুলনার শিববা‌ড়ি মো‌ড়ে শিক্ষার্থী‌দের গণসমা‌বেশ, ৭ স্পটে থাকবে আ.লী‌গ

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে আওয়ামী লীগের লোকদের। তারা কেউ পালিয়ে আছেন, কেউ পালাননি। কিন্তু টাকা তাদের হাতে আছে। আর সেই টাকার পেছনে পঙ্গপালের মতো ছুটছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা!
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের লোকদের যে অনেকগুলো ফাইভস্টার হোটেল ছিল, অনেকগুলো টিভি চ্যানেল ছিল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল, ব্যাংক ছিল; এর একটি জায়গাতেও দলটির স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়নি। এস আলম, সামিট কিংবা ভারতের আদানি; এসব জায়ান্ট কম্পানিগুলো আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে নব্য রাজনীতিকদের বেশি ঘোরাচ্ছে। এর ফলে দেখা যায়, আওয়ামী দোসর এসব প্রতিষ্ঠানে নেতাদের সন্তানরা ঘুরছে। অনেকে আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সিঙ্গাপুর, ব্যাংক, দুবাইতে ছুটাছুটি করছে। এই যদি হয় আওয়ামী অর্থনীতির অবস্থা; তাহলে আওয়ামী রাজনীতির অবস্থা খুব কি খারাপ?

আরও পড়ুনঃ  ফ্যাসিস্টের দোসর নাকি ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন ফারুকী, অবশেষে জানালেন

গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আমরা যারা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সাদাকে সাদা বলছি, তারা দেখছি- আম ও দুধ একসঙ্গে মিশে গেছে। রাজনীতির এই ঘূর্ণিপাকে সবচেয়ে বিপদে আছেন ড. ইউনূস ও তার ঘনিষ্ঠজন। দিল্লি ও কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলো ড. ইউনূসের সর্বানাশ ঘটানোর জন্য তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ড. ইউনূসকে অসহায় বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু ড. ইউনূসের স্বপক্ষে কথা বলার জন্য দুই-একজন ইউটিউবার ছাড়া কেউ নেই।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ