মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রাম সংলগ্ন নদীতে নৌযানে চাঁদাবাজির বেশ কয়েকটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার মধ্যে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামানের কয়েকটি কলরেকর্ড ফাঁস হয়, যেখানে এই ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এদিকে কলরেকর্ডগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
খবর নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েকটি কলরেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান নৌযান থেকে চাঁদা উত্তোলন এবং তার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির পরিচয় জানা না গেলেও একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী নিশ্চিত করেছেন, এদের মধ্যে একজন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। দলের ইমেজ রক্ষায় দ্রুত তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম প্রধান ইপু বলেন, তার বেশ কয়েকটি কলরেকর্ড আমাদের হস্তগত হয়েছে। এসব কলরেকর্ডে নদীতে নৌযানে চাঁদাবাজির ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়। তার ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের অনুরোধ করছি।
বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিহিন উল্লাহ মিহিন বলেন, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামানকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় মনিরুজ্জামানের অপকর্মের দায় উপজেলা বিএনপিকে নিতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই কলরেকর্ডটি আমার নয়। এটি কার কলরেকর্ড সেটিও আমি জানি না। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন এটি আমার বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের ব্যাপারে আমি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান শফিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীকে জানিয়েছি। দ্রুতই বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো। যদি ঘটনার সত্যতা থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।