27 C
Dhaka
Sunday, February 23, 2025

টাঙ্গাইলে নানার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা নাতনি

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ৬ মাস আগে নানার ধর্ষণের ঘটনায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফজলুল হক (৫৫) নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিচার চেয়ে আইনি সহায়তা চেয়েছে ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের সাত্তারকান্দি চরপাড়া গ্রামে। অভিযুক্ত ফজুলল হক একই গ্রামের মৃত জহুরুল হকের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। এ ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ফজলুল হকের পক্ষে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনাটি সাত লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুনঃ  অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিওবার্তা দিলেন ব্যারিস্টার সুমন

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানায়, অভিযুক্ত ফজুলল হক সম্পর্কে প্রতিবেশী নানা। তিনি বিভিন্ন সময়ে চিপস, চকলেট খাইয়ে ও টাকার লোভ দেখিয়ে নানা প্রলোভনে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ঘটনাটি পরিবার বা অন্য কাউকে না বলার জন্য মেরে ফেলার হুমকি দেয় ফজলুল হক। ভয়ে কিশোরী এ নিয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত ফজলুল হক তাকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা না করার হুমকিতে ওই ছাত্রী ও তার বাবা-মা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চায় কিশোরী।

কিশোরীর বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়েটি পাশের একটি হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। একদম শিশু বাচ্চা। ফজলুল হক আমার ভাইয়ের সম্পর্কে উকিল শ্বশুর। সেই সুবাদে আমার মেয়ের সম্পর্কে নানা হওয়ায় আমাদের বাড়িতে তার যাতায়াত। আমি কাজকর্মে বাড়ির বাইরে যাই। ওর মা-ও বাড়ির বাইরে কাজে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে ফজলুল হক ফজু আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।’

আরও পড়ুনঃ  আমি শিগ*গির দেশে ফিরছি, কল রেকর্ড ফাঁ*স করে দেব

তবে ওই কিশোরীর দাদা রমজান আলী ও দাদী আজিরন বেগমসহ এলাকাবাসীর ভাষ্য, কিশোরী মেয়েটি ৬ মাসের গর্ভবতী এখন তার উপায় কী! ফজলুল হক পালিয়ে বেড়ালেও স্থানীয় প্রভাবশালী ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ স্বপন ও স্থানীয় মাতাব্বর তছলিম উদ্দিন (বড় গ্যাদা), খাইরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি তার পক্ষে কলকাঠি নাড়ছেন। তারা মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে সময় নষ্ট করছেন। সেই সঙ্গে ৭ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছেন। ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করতে যেতে দিচ্ছে না তারা। ভয়ভীতির মধ্যে আছে পরিবারটি।

আরও পড়ুনঃ  দুই বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, লাইন কাটতে গেলে বেঁধে রাখলেন ইউএনও

প্রশাসনের কাছে এরকম ন্যক্কারজক ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিলন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফজলুল হকের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।’

এ বিষয়ে ধনবাড়ী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমানের বলেন, ‘কেউ অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ