30.3 C
Dhaka
Tuesday, May 20, 2025

যশোরের অভয়নগরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেলো

বাংলাদেশের যশোরের অভয়নগর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আফরোজা বেগম নামে ওই নারীকে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছে ৩০টি ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওইদিন গ্রেপ্তারের পর অভয়নগর থানা হাজতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রোববার সকালে থানা হাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আফরোজা বেগম। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তখন উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুনঃ  সন্ধ্যায় ফাঁস নিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকা, রাতে প্রেমিক

এটি যশোর সদর হাসপাতাল নামে পরিচিত। হাসপাতালে নেয়ার পর রোববার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “রোগী অসুস্থ হলে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ডাক্তাররা দেখে তার প্রেশার ২২০/১১০। পরে তারা রেফার করলে পুলিশ আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এখানে জরুরি বিভাগের ডাক্তাররা জানান সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণে রোগী মারা গেছেন।”

মৃত আফরোজা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আসতে পারে যেসব সিদ্ধান্ত

ঘটনার আদ্যোপান্ত
অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আবদুল জলিল মোল্লার স্ত্রী আফরোজা বেগম।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আফরোজা বেগমের ছোট ছেলে সাব্বির মোল্লা অভিযোগ করেন শনিবার রাতে সাড়ে এগারটার পরে পুলিশ বাড়িতে এসে তল্লাশি চালিয়ে তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “সাড়ে এগারটার দিকে ভাত খাওয়ার জন্য আম্মু পানি আনতে যাচ্ছিল। ওই সময় আব্বুকে খুঁজতে এক লোক আসে। আম্মু বলে আব্বু ইজি-বাইক স্ট্যান্ডে। পরে আব্বুকে এনে কথা বলার পর আব্বু আবার চলে যায়। সেই লোক আবার আসে। আম্মু পানি আনতে গেছিল। ওখান থেকে আসার পরে ওইসময় পাঁচ ছয়জন পুলিশ ও তাদের সোর্সসহ দশজনের মতো ঘরে ঢুকলো।”

আরও পড়ুনঃ  আবার যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ, রয়েছে নৈতিকতার বলে বলীয়ান ড. ইউনূসের নেতৃত্ব : দ্য ইকোনমিস্ট

এ সময় উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক সিলন আলী, এএসআই শামসুল হক ও নারী কনস্টেবল রাবেয়া খানম অভিযানে তল্লাশি চালান।

মি. মোল্লা বলেন, “আব্বুর পরিচিত যে লোক আসছিল তার পকেট থেকে কী জানি পায়। পরে আম্মুকে সার্চ করে, বাড়িতেও করে। বলে তোমার কাছে কী আছে দাও। যার পকেট থেকে কিছু পায় তাকে ছেড়ে দেয়। পরে আম্মুকে বলে কিছু পাইলেও আজকে মামলা দিবো, না পেলেও মামলা দিবো। পাঁচজন পুলিশ ছিল তারা। তাকে খালি চড় থাপ্পড় মারছিল। আম্মু বারবারই বলছিল আমার কাছে কিছু নাই।”

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ