27 C
Dhaka
Friday, February 21, 2025

সিয়ামকে নিয়ে সিআইডির অভিযানে হাড়গোড় উদ্ধার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় গ্রেফতায় সিয়াম হোসেনকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিআইডি। অভিযানে একটি খাল থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

শনিবার (৮ জুন) সিয়ামকে ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন কলকাতার বারাসাতের আদালত। এরপর রোববার সকালে তাকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে কলকাতা পুলিশ।

পরে কলকাতার অদূরের একটি খাল থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধারের কথা জানায় সিআইডি। উদ্ধার করা হাড়গোড়গুলো নিহত এমপি আনারের হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশে। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

গ্রেফতার সিয়ামকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়ার প্রথমদিনই মামলার এমন অগ্রগতির কথা জানাল কলকাতা পুলিশ। এর আগে কলকাতার সাঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের টুকরা উদ্ধার করা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সেগুলো পাঠানো হয় ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে।

আরও পড়ুনঃ  জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

এর আগে গত শুক্রবার আনার হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নেপালে আটক সিয়াম হোসেনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, আনার হত্যাকাণ্ডে যে বা যারাই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। শনিবার (৮ ‍জুন) রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

হারুন অর রশিদ বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে যে বা যারাই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে সিয়ামকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারতে যাবে ডিবি।

এর আগে গত ২৬ মে আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে কলকাতায় যায় ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

এরপর সিয়ামকে নেপালে আটকের খবর পেয়ে ১ জুন সেখানে উড়ে যান ডিবির হারুন। ৪ জুন নেপাল থেকে ফিরে শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে নেপালের চুক্তি রয়েছে। ভারতীয় পুলিশের কাছে সিয়ামকে দিলেও হবে। কারণ তাকে নিয়ে আলামত উদ্ধারসহ তদন্তকে এগিয়ে নেয়া সহজ হবে।

আরও পড়ুনঃ  গুলি*বিদ্ধ হয়েও অনেকক্ষণ বেঁচেছিলেন শহীদ মাসুদ, হাস*পাতালে নিতে দেয়নি হায়েনারা

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজিম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।

২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

আরও পড়ুনঃ  অবশেষে জানা গেল দেশের প্রকৃত রিজার্ভ কত

হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে গ্রেফতার সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাহাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে দুদফা রিমান্ডে নেয়া হয়। আর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বারাসাতের আদালত।

এছাড়া বর্তমানে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকা সিয়ামের বিরুদ্ধে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আমানের সহযোগী সাইফুল মেম্বারকেও রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ৬ জুন আটক করেছে ডিবি।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ