পিরোজপুরের নাজিরপুরে জুতিকা বালা (৫৩) নামের এক নারীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার ছেলে জ্যোতিষ বালা (৩২)। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামে ঘরে ঢুকে মাকে হত্যার এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত জুতিকা বালা উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ন বালার স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহত জুতিকা বালার স্বামী নারায়ণ বালা বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত জুতিকা বালা ও নারায়ন বালার দম্পত্তির চার ছেলে। দুই ছেলে ভারত থাকেন আর দুই ছেলে বাড়িতে থাকেন।
নাজিরপুর থানায় অনুিষ্ঠত ওই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম জানান, মামলা দায়ের হওয়ার মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ রেজাউল করিম রাজিব যৌথ অভিযানে হত্যার মূল রহস্য উন্মোচন করে এবং হত্যার মূল আসামি ছেলে জ্যোতিষ বালাকে গ্রেপ্তার করে।
আসামি জ্যোতিষ বালা পুলিশের কাছে তার মাকে হত্যা কথা স্বীকার করে। এই ঘটনায় হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ধারাল দা খুনির স্বীকারোক্তী অনুযায়ী বিকেল ৫টায় বাড়ির পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জ্যোতিষ বালা পুলিশকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মায়ের প্রতি তার ক্ষোভ ছিল। তাছাড়া স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে তার ঝামেলা করতেন হবে তার ধারণা। তাই বৃহস্পতিবার রাতে নিজ গৃহে মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে জুতিকা বালা মারা যান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ রেজাউল করিম রাজিব।