ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলার আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এদিকে ভারতের সিআইডি আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে ডিএনএ টেস্টের জন্য স্যাম্পল দিতে ডেকেছে।
এ অবস্থায় বাবা হারানোর ব্যথা, কষ্ট ও যন্ত্রণার কথা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ডরিন। শুক্রবার (১২ জুলাই) দেয়া একাধিক পোস্টে তিনি নিজের মানসিক অবস্থার কথা তুলে ধরেন।
এক আবেগঘন পোস্টে ডরিন লিখেছেন বাবাকে হারানোর পর থেকে তিনি আর কোনোকিছু রান্না করেন না। পোস্টে তিনি লিখেন, আমার আব্বু, সে দিনের পর থেকে আর রান্নাও করি নাই। আর তো ভালো লাগে না, কিছু বানাইতে।
একই দিনের অন্য এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আর তো কথা হলো না আব্বু তোমার সাথে। তুমি কি জানো আমি অসুস্থ, বেশকিছু দিন ধরে। আর তো দেখতে পেলাম না তোমাকে আব্বু। খুব কষ্ট হয় আমার তোমার জন্য আব্বু।’
উল্লেখ্য: গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে ওই বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।
পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় এমপি আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপর আর খোঁজ মেলেনি তিন বারের এ সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে, কলকাতার পাশেই নিউটাউন এলাকায় সাঞ্জীভা গার্ডেনস নামে একটি বহুতল আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজিম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি তার মরদেহ।
পুলিশের তথ্যমতে, সংসদ সদস্য আনার কলকাতা যান ১২ মে। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন তাকে প্রলুব্ধ করে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে নেয়া হয়। তখন ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি, শিমুল, তানভীর, জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী।
পরে ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।