27.1 C
Dhaka
Monday, June 23, 2025

মেসেঞ্জারে বড় ভাই না ডাকায় ভেঙে ফেলল মাথার খুলি

নরসিংদীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মেসেঞ্জার গ্রুপে এক কিশোরকে বড় ভাই না ডাকার জেরে ইউসুফ মিহির নামে এক কিশোরকে ইট দিয়ে মাথার খুলি ভেঙে দিয়েছে অপর কিশোর মাহফুজের বাবা মো. মাসুদ। এ ছাড়া পিটুনি দিয়ে আহত করা হয়েছে আরেক কিশোরকে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নরসিংদী শহরের বাসইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দশম শ্রেণির ছাত্র ইউসুফ মিহির শহরের বাসাইল এলাকার প্রবাসী কামাল মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে পিটুনিতে আহত কিশোরের নাম সাহেদ মিয়া। দশম শ্রেণির ছাত্র সাহেদ মিয়া একই এলাকার আবু কালামের ছেলে।

আহতদের সহপাঠীরা জানান, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারের একটি গ্রুপ খোলা হয়। সে গ্রুপে মাহফুজ নিজেকে বড় ভাই দাবি করলে সিয়াম এর প্রতিবাদ জানায়। সাহেদ, মিহিরসহ গ্রুপের অন্যরা তাতে সমর্থন করে। এতে মাহফুজ তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

আরও পড়ুনঃ  এত বিদ্যুৎ যাচ্ছে কোথায়?

এরই জের ধরে শুক্রবার (১২ জুলাই) পৌর শিশুপার্কে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা শেষ করে সাহেদ দুপুর আড়াইটার দিকে বাসাইল পৌর ঈদগার সামনে পৌঁছলে মাহফুজ দলবল নিয়ে সাহেদকে একা পেয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে সাহেদের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওই দিনই রাত ৯টার দিকে সাহেদের পরিবারের সদস্য ও সহপাঠী কয়েকজন মিলে বিচার চাইতে মাহফুজের বাড়িতে যায়। এ সময় ছেলে মাহফুজের বিচার না করে উল্টো মাহফুজের বাবা মাসুদ মিয়া কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন এবং দা-বঁটি নিয়ে বিচারপ্রার্থীদের দিকে তেড়ে আসেন।

আরও পড়ুনঃ  মাম*লা করলেন সারজিস

তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে মাহফুজের বাবা মাসুদ মিয়া ইট দিয়ে সহপাঠী ইউসুফ মিহিরের মাথায় আঘাত করে তার মাথার খুলি ভেঙে দেন। এতে মিহিরের মাথার মগজ বেরিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মিহিরকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় আহত সাহেদ মিয়ার চাচা সালাম মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতেই অভিযুক্ত মাহফুজ মিয়া ও তার বাবা মাসুদ মিয়াকে আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন।

ইউসুফ মিহিরের বাবা কামাল মিয়া বলেন, আমি ১৫ দিনের ছুটিতে দেশে এসেছি। এ ঘটনার কিছুই জানতাম না। ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে সব শুনেছি। তার পরিস্থিতি ভালো না। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ছেলের এ অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

আরও পড়ুনঃ  পুলিশের আঘাতে ঢাবি শিক্ষক আহত

নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ইটের আঘাতে মাথার খুলি ভেঙে যাওয়া মিহিরকে হাসপাতালে আনার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও বমি হওয়ার কারণে তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ছাড়া সাহেদ নামে আরেক কিশোরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাহফুজ ও তার বাবা মাসুদ মিয়াকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ