সচিবালয়ে সমন্বয়কসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এ সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটকে রেখে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে আনসার বাহিনীর সদস্যরা। শিক্ষার্থীরা দুই সমন্বয়ককে আনতে গেলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও ইটপাটকেল ছোড়ে আনসার বাহিনী। এতে ৩০ জনের অধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সমাবেশে আবু বাকের মজুমদার বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনও রাজপথ ছাড়েনি। দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা যে ষড়যন্ত্র করছে, গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এ সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত।
আমরা দেখেছি এ গণঅভ্যুত্থানের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে তারা পার পাবে না। যারা আজ আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করেছে, তাদের প্রত্যেকের আইনের আওতায় আনা হবে।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এদের সাহস কি করে হয়, আমাদের ভাইদের রক্তাক্ত করার! তাদের বলে দিতে চাই, নানান রঙে সচিবালয়ের আশেপাশে আজকের পর থেকে যারা অবরোধ কায়েম করবে, তাদেরকে ছাত্রজনতা দেখে নেবে।
তিনি বলেন, ‘৩৬ দিনের গণঅভ্যুত্থানে আমরা কখনও সচিবালয় ব্লকেড করিনি। কারণ সেখান থেকে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। এ গণঅভ্যুত্থানের ২০ দিন যেতে না যেতেই যারা অধিকারের নামে ভণ্ডামি করে সচিবালয়ে ব্লকেড করে, তারা শকুনদের দালাল। ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমরা সর্বোদা প্রস্তুত।’