26.5 C
Dhaka
Thursday, August 7, 2025

অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে নিখোঁজ, ২ মাস পর মিলল পুঁতে রাখা মরদেহ

নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পর সাভারের আশুলিয়া থেকে রেহেনা পারভীন (৩৫) নামে এক নারীর মাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সাভারের আশুলিয়ার মনোদিয়া এলাকার চওরাপাড়া গ্রামে নিহত রেহেনার ননদ পাপিয়া আক্তারের বাড়ির আঙিনা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রেহেনা ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার পাতিলা গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্বামী আওলাদ হোসেন ও চার সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতেন।

রেহেনার পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২৯ জুন রেহেনা পারভীন অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসেন। পরদিন ৩০ জুন তিনি বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যান। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর ৩ জুলাই তিনি তার বাবার বাড়িতে ফোনে করে জানান যে তাকে মারধর করা হয়েছে। তারপর থেকেই নিখোঁজ হন রেহেনা।

আরও পড়ুনঃ  ইমামদের নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা: আ.ফ. খালিদ হাসান

পরে ৩ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি ও ০৮ সেপ্টেম্বর চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে নিহত রেহেনার পরিবার। তাতে আসামি করা হয় স্বামী আওলাদ হোসেন, তার চাচা আমজাদ হোসেন ও ননদ পাপিয়া আক্তার। এছাড়া মাকসুদা নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার পর রেহেনার চাচা আমজাদ হোসেন ও ননদ পাপিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পুলিশের তদন্তে তার ননদ ও চাচাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে রেহেনার মরদেহে খোঁজ মেলে। তবে রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেন পলাতক আছেন।

আরও পড়ুনঃ  পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য: প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত

রেহেনার মা আইরিন আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়েকে পড়াশুনা করাতে জন্য ১৬ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়েছিলাম। সেখানেই আওলাদের সঙ্গে তার পরিচয় এবং পরে বিয়ে হয়। সন্তানসহ তারা স্বামী-স্ত্রী সবাই অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতেন। কিন্তু আমার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই আশুলিয়া থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক বিরোধের কারণেই তাকে হত্যা ও পরে মাটিতে পুঁতে রাখা হতে পারে। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ