22 C
Dhaka
Thursday, February 20, 2025

সাবেক ওসি মঈনকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিনকে বিজিবি আটক করলেও পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকা থেকে টাস্কফোর্স আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ওইদিন পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.রেজাউল হক খান।

জানা যায়, ওসি মঈন উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার গোপীনাথপুরে অস্ত্র রয়েছে এমন খবরে সোমবার ভোররাতে বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালায়। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমকেএম ফয়সাল অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরে অস্ত্র পাওয়া না গেলেও ওসি মঈন উদ্দিনকে (৪৩) আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ তৈরি করেছে, প্রয়োজনে আরেকটি—ভারতীয় নেতার হুমকি

৫৫ বিজিবির হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. ইয়ার হোসেন লিখিতভাবে মাধবপুর থানার ওসিকে জানিয়ে মঈনকে সোপর্দ করেন।

বিজিবির দেওয়া ওই পত্রে বলা হয়, ১৪ জন বিজিবির সদস্যসহ মাধবপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ও মনতলা পুলিশ ফাঁড়ির প্রয়োজনীয় অফিসার-ফোর্সের সহায়তা নিয়ে অদ্য সেপ্টেম্বর তারিখে মাধবপুর থানাধীন গোপীনাথপুর মাস্টার বাড়ি মনতলা সাকিনস্থ মঈন উদ্দিনের বাড়িতে টাস্কফোর্স পরিচালনা করি। টাস্কফোর্স পরিচালনাকালে মঈন উদ্দিনের বাড়িতে কোন প্রকার অস্ত্র পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে জানা যায় যে, আটককৃত মঈন উদ্দিন এসএমপি কোতোয়ালি মডেল থানার এজাহারভুক্ত আসামি। এমতাবস্থায়, তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

আরও পড়ুনঃ  এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক: সমন্বয়ক সারজিস

আটক ওসি মঈন উদ্দিন গোপীনাথপুরের ইমাম উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার দুপুরে মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মু. সাদরুল হাসান খান ওসি মঈন উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.রেজাউল হক খান জানান, ওসি মঈন উদ্দিনের নামে একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে বিজিবির একটি দল তার বাড়িতে গিয়েছিল ও বিজিবি মঈনকে থানায় নিয়ে আসে। লাইসেন্স নিলেও মঈন কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করেননি। তার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানাও নেই। আবার কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি নিতে হয়। ওসি মঈনের বিষয়ে এরকম কিছু না থাকায় তিনি স্বাভাবিকভাবেই থানা থেকে চলে যান। আর বিজিবি সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটারের বাইরে তো অভিযান পরিচালনা করতে পারে না। এমনকি বিজিবির আসামি গ্রেফতারেও অনুমতি নেই বলে জানান হবিগঞ্জের এসপি।

আরও পড়ুনঃ  কবর দেওয়ার সময় কেঁদে উঠল ‘মৃত’ নবজাতক

উল্লেখ্য-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। ঘটনার এক মাস পর নিহতের ভাই আবুল আহসান মো.আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে ১৯ আগস্ট সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে। ওই মামলায় পুলিশসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ