22 C
Dhaka
Tuesday, February 18, 2025

ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

কুষ্টিয়া বিএনপির সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বঞ্চিতরা। এছাড়া আগামী ৭২ঘণ্টার মধ্যে ঘোষিত কমিটি বাতিল করা না হলে বড় কর্মসূচি ঘোষণারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের মজমপুর রেলগেটে অবস্থান নেন। পরে সেখানে সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে পুনরায় সমাবেশ করেন।

জেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম-উল হাসান অপুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কাজল মাজমাদার, নূরুজ্জামান হাবলু মোল্লা, আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, খোকসা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ আমজাদ আলী প্রমুখ।

জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির কমিটিতে যোগ্যদের স্থান হয়নি। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিলেন, হামলা মামলার শিকার হয়েছিলেন তাদেরকে বাদ দিয়ে জাকির সরকার এবং কুতুব উদ্দিন আহমেদ মামা ভাগ্নে পকেট কমিটি করেছে। কমিটি বাতিল করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির পাশাপাশি কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ২০২৫ সালেই হতে পারে জাতীয় নির্বাচন

আরেক সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, যোগ্য নেতাদের স্থান দেয়া হয়নি কুষ্টিয়া বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে। যাদেরকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে তারা কেউ পরীক্ষিত নন, এটি মামা-ভাগ্নে কমিটি, অবৈধ কমিটি। কমিটি প্রত্যাখ্যান করে অনতিবিলম্বে তা বাতিল করে ত্যাগীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।

সমাবেশের সভাপতি জেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম-উল হাসান অপু বলেন, সদ্যঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের স্থান দেয়া হয়নি। টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে কমিটি। তাই আগামীতে কুষ্টিয়ার মাটিতে কুতুব-জাকিরের নেতৃত্বে কোন রাজনীতি হতে দেয়া হবে না। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বাতিল করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  বিএন*পিতে যোগ দিলেন আ.লী*গের শতাধিক নেতা*কর্মী

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ জানান, ৩১ সদস্যের যে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে এই কমিটিতে আমাদের কোন হাত নেই। বিএনপি একটি বড় সংগঠন। এখানে অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। কেন্দ্র থেকে প্রত্যেকটি উপজেলা ও পৌর কমিটির ১১টি ইউনিটকে অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশনা রয়েছে। তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করতে গিয়ে অনেক যোগ্য নেতা বাদ পড়েছেন, পড়তেই পারেন। তাই বলে রাজপথে মিছিল করে একটা বাজে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে এটা কাঙ্খিত নয়। ওরা কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দাবির কথা জানাতে পারত।

আরও পড়ুনঃ  বিরোধী রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ!

তিনি আরও জানান, যারা কমিটি বাতিলের মিছিল করেছে, বিক্ষোভ করেছে তাদরে মধ্যে সদস্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির কয়েকজন রয়েছেন। বহিরাগত রয়েছে, যারা বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্যাডার হিসেবে কাজ করেছে। আসলে তারা প্রকৃতপক্ষে কি চাইছেন সেটি আমরা বুঝতে পারছি না। ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে তাদের। তিনি জানান যেহেতু এই আহ্বায়ক কমিটি ৩ মাসের। তিন মাস পর যখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে তখন যোগ্য নেতাদের কাঙ্খিত জায়গায় দেয়া হবে। এবিষয়ে কেন্দ্রের পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ