31 C
Dhaka
Saturday, October 18, 2025

১১ বছর পর শিবির কর্মীর লাশ উত্তোলন,কবরে মিলল বুলেট সাদৃশ্য বস্তু

নোয়াখালী জেলা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১১ বছর পর কবর থেকে মতিউর রহমান সজীব (১৭) নামে এক শিবির কর্মীর লাশ তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সজীব একই এলাকার মৃত আব্দুল রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।

আরও পড়ুনঃ  সাইফ আলী খানকে হামলা*কারী বাংলাদেশি, সত্য নাকি গুজব?

জানা যায়, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশের পর আজ বিকালের দিকে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সজীবের মরদেহ তোলা হয়। ওই সময় কবরে একটি বুলেট পাওয়া যায়। এ সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মঈনুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ওই সময় কবর থেকে বুলেট সাদৃশ্য একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়।পরীক্ষার পর বলা যাবে এটি বুলেট কিনা।

আরও পড়ুনঃ  গুজব নিয়ে উপদেষ্টা আসিফের ফেসবুক স্ট্যাটাস

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সামনে জামায়েত ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সজীবসহ চার জন শিবির নেতাকর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন উপজেলা জামায়েত।

পরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের চার নেতা-কর্মীকে হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয় আদালতে।

পরে আদালতের নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়।এছাড়াও মামলায় আসামি করা হয় কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমা।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ