তার ২ মেয়েকে দাফন করা হলেও গতকাল শনিবার সেখানে চলছে শোকের মাতম। আমেনার ছোট বোন জোসনা আরো বলেন, আমেনা বলেছিল গোপালগঞ্জ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ফিরবে। এরপর সিরাজদীখানে আমাদের বাড়িতে আসবে। অনেক দিন পরবোন-ভাই ও ভাগ্নে-ভাগ্নিদের নিয়ে রাত কাটাবো ভেবে খুশি ছিলাম। কিন্তু কে জানতো আমাদের খুশি এমনেই শেষ অইয়া যাইবো।
নিহত আমেনার স্বামী ইকবালের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,আমার স্ত্রী,দুই মেয়ে,নাতিরে বাস চাপা দিয়ে খুন করা হইছে।আমার মেঝো মেয়ে অনামিকার অবস্থাও খুব খারাপ।কারা কেনো ওদের খুন করলো। ইকবাল বলেন, গনঅভ্যুত্থানের পর সব জায়গায় সংস্কার হচ্ছে।সড়কে কোন সংস্কার নাই।প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে। এ ব্যাপারে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।আমি সব হারাইছি।আর কেউ যেনো কারো একজনও আপনজন না হারায়।আমি সরকার সহ সবার কাছে আমার স্বজনদের হত্যার বিচারসহ সড়কপথ নিরাপদ করার দাবি জানাই।
নিহত আমেনার আক্তারের দেবর জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন,বাসচাপা দেওয়ার ঘটনাটি পরিকল্পিত। বাসটি যদি তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকে,তাহলে যাত্রীদের বাঁচাতে টোলপ্লাজার অন্য কোথাও মেরে দিতে পারত অথবা টোলপ্লাজার অন্য লেনে গাড়ি ছিলনা সেখান দিয়ে যেতে পারতো। টোলপ্লাজায় আসলে বাসের গতি ও স্বাভাবিক থাকতো।কিন্তু সেখানে টোলপ্লাজার দিকে আসার পর, বাসের গতি এত বাড়লো কেনো।বাসটি গাড়ি গুলোর উপরেই কেনো উঠিয়ে দিতে হলো। আমরা বিভাগীয় তদন্তসহ ব্যবস্থা চাই।
নিহত আমেনা আক্তারের বড় ভাই নুরুল আমিন বাদি হয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এতে ঘাতক বাসের অজ্ঞাত মালিক,চালক ও তার সহকারীকে আসামি করা হয়েছে।বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ঘাতক বাস চালককে র্যাব হেফাজতে রয়েছেন বলে জানাযায়।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন,আমরা কাউকে আটক করিনি।শুনতে পেয়েছি র্যাব-১০ বাসটির চালককে আটক করেছে।তবে ঘটনাটি কি কারনে ঘটেছে সেটি উৎঘাটনে কাজ চলছে।এছাড়াও বাসের ফিটনেস ছিল কিনা,চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল কিনা,চালক পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়ে ছিলেন কিনা চালকে হেফাজতে পেলে জানা যাবে।