30.3 C
Dhaka
Tuesday, May 20, 2025

পদ*ত্যাগ করছেন জাস্টিন ট্রুডো!

কানাডার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার (৬ জানুয়ারি) মধ্যেই এ ঘোষণা দিতে পারেন তিনি। তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল অ্যান্ড মেইল।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরই প্রেক্ষিতে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রুডো। তবে কবে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন সেবিষয়ে কিছু জানা গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) দলের জাতীয় সম্মেলনের আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে পারেন ট্রুডো। কিছু সূত্র আবার বলছে, আজ বিকেলেই পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতই বাংলাদেশকে দখল*বাজ-চাঁদাবাজ মুক্ত করতে পারবে: জামায়াত আমির

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবশ্য এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

গ্লোব অ্যান্ড মেইলের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ট্রুডো এখনই তার পদ ছেড়ে চলে যাবেন নাকি নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেসময় কানাডিয়ান এই দলটি গভীর সমস্যায় পড়েছিল এবং প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল।

এদিকে রয়টার্স বলছে, ট্রুডোর সম্ভাব্য এই পদত্যাগের ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন এই দলটিকে এমন এক সময়ে স্থায়ী প্রধান ছাড়াই রাজনৈতিক ময়দানে ছেড়ে দেবে যখন জরিপগুলোতেও দেখা যাচ্ছে যে- চলতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে হওয়া নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে খারাপভাবে হেরে যাবে।

আরও পড়ুনঃ  তালাকের তথ্য গোপন করে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, অতপর…

অবশ্য ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে নতুন সরকার গঠনের জন্য দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে ট্রুডোর এ পদত্যাগের পেছনে নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমনাত্মক অর্থনৈতিক নীতিকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ গত মাসের শেষের দিকে ট্রাম্প কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিল। মূলত ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর থেকেই কানাডার রাজনীতিতে অস্থিরতা দেখা দেয়।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ