প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসজুড়ে চলমান ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে নিযুক্ত প্রেসগুলোতে যেন নোট ও গাইড বই, ডায়েরি বা ক্যালেন্ডার ছাপানো না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের পাঠানো চিঠিতে ১১৬টি প্রেসের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং এসব প্রেসে নিয়মিত নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এক নির্দেশনায় জানায়, প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নোট-গাইড বই ছাপানো বন্ধ রাখতে হবে। এনসিটিবি এই নির্দেশনায় পাঠ্যবই মুদ্রণ ও সরবরাহ কাজকে “জাতীয় ও নৈতিক দায়িত্ব” হিসেবে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছে।
কাগজ সংকট নিরসনে সরকার এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ নোট-গাইড বই ছাপানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের হাতে যথাসময়ে পাঠ্যবই পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।