28.3 C
Dhaka
Monday, August 11, 2025

কুমিল্লায় শিশুকে ধর্ষ.ণের পর হ*ত্যা, একমাত্র আসামির মৃত্যু*দণ্ড

কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ঘটনায় মেহরাজ হোসেন তুষার নামের একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন বিচারক।

আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই রায় দেন। আসামি মেহরাজ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার আলী আশরাফের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেটের লোভ দেখিয়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন মেহরাজ। পরে পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে মরদেহ মুড়িয়ে রাখে প্রতিবেশী যুবক মেহেরাজ। সেদিন ভুক্তভোগী ওই শিশুকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরদিন সকালে খোঁজাখুঁজির সময় ওই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা : ২৬ জানুয়ারি: গুল*শান-২ এড়িয়ে চলার অনুরোধ!

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর দাদা বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশি তদন্তে ১৪ দিন পর আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর আজ নারী ও শিশু ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামি মেহরাজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পিপি বদিউল আলম সুজন বলেন, ‘দীর্ঘ ৭ বছর মামলাটি বিচারের দিন থাকা অবস্থায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামি মেহরাজ জবানবন্দিতে ওই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। যে রায় হয়েছে এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’

আরও পড়ুনঃ  কেন কলকাতাকে বেছে নিল হত্যাকারীরা?

হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুর মা বলেন, ‘গত ৭ বছর যাবত মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য আমি আদালতে ঘুরেছি। অবশেষে আসামি মেহরাজের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট, কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় কার্যকর চাই।’

এদিকে রায় ঘোষণার পর আদালতে আসামি মেহরাজে পাশে তাঁর স্বজনদের কাউকে দেখা যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ