গত ১১ জানুয়ারি রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১১টি আবাসিক হলে একযোগে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই কমিটিকে অনধিক সাত কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু ৮ দিন অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খান।
ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে কিছু আলামত পেয়েছি, সেগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত কথা হচ্ছে। এটা তো একটু সেনসিটিভ বিষয় এ জন্য একটু সময় লাগছে। ভিসি স্যারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। একটা জরুরি কাজে ঢাকায় এসেছি। আশা করছি ফিরে যেয়ে খুব দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
১১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে শহীদ জিয়াউর রহমান হল, সৈয়দ আমীর আলী হল, মাদার বখশ হল, শাহ মখ্দুম হল, শেরে বাংলা হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হলে, সোহরাওয়ার্দী হল, জোহা হলসহ আরও কয়েকটি হলে রাতের আঁধারে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান হলের দেওয়ালে বিজেপির লোগো আঁকানো হয়।