28 C
Dhaka
Thursday, June 19, 2025

ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে নির্বাচন মানবে না রাজ*নৈতিক দলগুলো : ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করার পরও যদি সরকারে তাদের প্রতিনিধি থাকে তাহলে সরকার নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না। তারা যদি সরকারে থেকেই নির্বাচন করেন, তাহলে তো রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে না।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল।

বিবিসি বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা একটা রাজনৈতিক দল গঠন করার কথা ভাবছেন। সেখানে যদি ছাত্রদের প্রতিনিধি এ সরকারে থাকে, তাহলে তো নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না। কিন্তু তারা যদি মনে করেন সরকারে থেকেই নির্বাচন করবেন, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো সেটা মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই, সেটা আগেও বলেছি। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার, যেটা ন্যূনতম সংস্কার, সেগুলো করে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার কথা বলেছি আমরা। এসব কথা আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি এবং আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের যে অভিজ্ঞতা দেখেছি আমরা অতীতের কেয়ারটেকার সরকারগুলোতে, তাতে করে এটা অসম্ভব কিছু না। সরকার চাইলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে বা আগস্টের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ  কবে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, যা জানা গেল

নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট সময় ওইভাবে বলতে চাই না। কারণ এ জন্য যে, তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ সরকারকেও সেটা চাইতে হবে। অন্য দলগুলোকেও চাইতে হবে, সবাইকে একসঙ্গে চাইতে হবে। তবে আমরা মনে করি, যতদ্রুত নির্বাচন হবে দেশের জন্য ততই মঙ্গল হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের কথাগুলো শুরু থেকেই স্পষ্ট করে বলে আসছি। বলেছি যে, যতগুলো সংস্কারের মধ্যে হাত দেওয়া হয়েছে, অতগুলো সংস্কার করতে গেলে ১০ বছরের মধ্যেও শেষ হবে না। আর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। দুই বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। তার মধ্যে এই বিষয়গুলো তো রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে পালিয়ে যান যুবলীগ নেতা

সংবিধান সংস্কারের বিষয় রয়েছে, জুডিশিয়াল কমিশনের কথা আমরা বলেছি, আমরা ইলেকশন কমিশনের কথা বলেছি, আমরা ব্যুরোক্রেসি সংস্কারের কথা বলেছি ৩১ দফায়, আমরা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছি -এগুলো সব আমাদের বলা আছে। এখন সেক্ষেত্রে তারা যেটা করেছেন, সেটা কী রিপোর্ট নিয়ে আসছে আমরা জানি না।

যদি রিপোর্টগুলোয় দেখা যায়, আমাদের সঙ্গে মিলে গেছে, তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যেগুলো মিলবে না, সেগুলো তো একটা ন্যূনতম কনসেনসাস হতে হবে। তারপরে সেটা হতে হবে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, সংস্কার দেওয়া হলো, কিন্তু সেটা অ্যাপ্রুভ করবে কে? তার জন্য তো আইনগতভাবে যাদের অধিকার আছে, তারাই করতে পারবে। দ্যাট ইজ পার্লামেন্ট।

আরও পড়ুনঃ  রাতভর পার্টি, স্যারদের সঙ্গী তরুণীরা

পার্লামেন্ট ছাড়া কিন্তু কোনো সাংবিধানিক সংস্কার কঠিন হবে। এমনকি অন্য অনেক বিষয় আছে, যেগুলো সংবিধানে কিছু কিছু পরিবর্তন আনার দরকার আছে। কিন্তু সেগুলো পার্লামেন্ট ছাড়া সম্ভব নয়। সে জন্যই আমরা মনে করি, দ্য সুনার দ্য ইলেকশন ইজ বেটার।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ