বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ট্যাগিং রাজনীতি বাদ দিয়ে আদর্শিক লড়াইয়ে আসুন, সিদ্ধান্ত ছাত্রসমাজ নেবে। যখন আমাদের সাথে আদর্শিকভাবে লড়াই করতে ব্যর্থ হয় তখন আমাদের নামে গুজব ছড়ানো হয়। আমরা তো বলেছি আসুন আমাদের সাথে আদর্শিক প্রতিযোগিতা হোক। কিন্তু তা না এসে সেই অতীত ইতিহাস আমাদেরকে ‘রাজাকার ‘ট্যাগিং যেটা দিয়ে আবু লাহাব,আবু জেহেলরা ধ্বংস হয়েছিল যেটা দিয়ে ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পতন যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার সে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে,এখনও পর্যন্ত এ প্রজন্মের যারা আমাদেরকে আদর্শিক জায়গা থেকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা ঠিক আগের ধারার রাজনীতি আবার শুরু করছে। আমরা বিনয়ের সাথে বলতে চাই, পৃথিবী কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়। একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে সব মিথ্যার জবাব একদিন আখিরাতে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকালে ঢাকা কলেজ কেন্দ্রীয় মাঠ প্রাঙ্গনে ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষ্যে কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের ‘অর্থসহ কুরআন উপহার’ কর্মসূচি- ২০২৫ তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, গতবছর জুলাই-আগস্টে যারা জীবন দিলেন, শহীদ হলেন এই জুলাই স্পিরিটের মূল তত্বই হল কোনো বৈষম্য থাকবে না,কোনো জুলুম থাকবে না, কোনো অন্যায় থাকবে না, কেউ কারো উপরে কোনোকিছু জোর করে চাপিয়ে দিতে পারবে না সবাই মুক্তভাবে তার চিন্তার স্বাধীনতা, আদর্শের স্বাধীনতা সব কিছুর ভোগ করার সুযোগ থাকবে কিন্তু আমরা দেখেছি ৫ আগস্ট গণঅভ্যুথানের পরও ফ্যাসিবাদের শিকড় গুলো এ জমিনে রয়ে গেছে। তারা বিভিন্ন ভাবে আবার ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা ছাত্রসমাজের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, জুলাইয়ে যারা জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি, শহীদ পরিবারের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা সেটার জন্যই চেষ্টা করবো।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত চরম কুরআন বিদ্বেষী উল্লেখ করে শিবির সভাপতি বলেন, আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে যে ঐক্য রয়েছে সেটা তারা নষ্ট করতে চাই। তাদের দেশে কুরআন পুড়িয়ে, মসজিদ ভেঙে তারা মন্দির তৈরি করে। তারা ইসলামকে নষ্ট করতে চাই তবে এটি ভুল ধারণা পৃথিবী যতদিন আছে, কুরআন যতদিন আছে এই পৃথিবীতে ইসলামকে কেউ বিনষ্ট করতে পারবেন না।
কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার কথা উল্লেখ করে শিবির সভাপতি আরো বলেন, যারা কুরআনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তাদের অবস্থা ভয়াবহ হয়েছে। এ কোরআন শুধু সওয়াবের জন্য আসে নি, আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করার জন্য এসেছে। রাসুল (সা.) এর সময় জাহেলি যুগে যারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল তারাও এই কুরআনের ছোঁয়া পেয়ে তারা তাদের জীবনকে পরিবর্তন করেছে। আজকেও যদি আমরা চিন্তা করি এই সমাজে যত অপকর্ম হয় এসব জীবন পরিবর্তন কুরআনের আলোকেই সম্ভব। কুরআন পুরো মানবজাতির জন্য হেদায়েত। প্রথমত কুরআন আমাদের পড়তে হবে। যে চিন্তার গভীরতায় যেতে পারবেন তিনি তার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারবেন। আজকে যারা পৃথিবীতে শান্তি, মানবতার কথা বলে তারাই। ফিলিস্তিনে নারী-শিশু সকলের ওপর হত্যা চালনো হচ্ছে। সমাজ থেকে রাষ্ট্র ধেকে জুলুমের। জুলাই-আগস্টের পরও দেখছি তাদের শিকড় এখনো জমিনে রয়ে গেছে। তারা।
উল্লেখ্য, কুরআন বিতরণ আয়োজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুফাসসিরে ও ইসলামিক চিন্তাবিদ শায়েখ জামাল উদ্দিন। এসময় কয়েকশো শিক্ষার্থীর হাতে কুরআন তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজ শিবিরের সভাপতি মোস্তাকিম আহমেদ ও সঞ্চালনায় ছিলেন সেক্রেটারি আবদুর রহমান আফনান।