জামায়াত, শিবিরকে সতর্ক হতে হবে। এক দুইজন উপদেষ্টা প্রকাশ্যে যেভাবে জামায়াত, শিবিরের বিরুদ্ধে নেমেছে তা অত্যন্ত সন্দেহের কারণ! জামায়াত, শিবির নিধন করতে নতুন কৌশলে এরা এখন কাজ শুরু করেছে। মুলত এরা সেই গত ১৬ বছরের শাসন আমলেরই নতুন ভার্সন। রাজনীতিতে অনেক সময় দেশের স্বার্থে জনগনের স্বার্থে ছাড় দিতে হয়, তাই বলে যারা সরাসরি শত্রুতা করছে, চোখের সামনে দেখেও তাদেরকে ছাড় দিবেন? দিলে সমস্যা নেই তবে আখেরে পস্তাতেই হয়। কোন ধরণের কারণ ছাড়া উপদেষ্টা মাহফুজ যেভাবে জামায়াত শিবিরের নাম উচ্চারণ করে বক্তব্য দিচ্ছে! আমারতো এখন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগে মাহফুজ যেভাবে প্রকাশ্যে ফেইসবুকে হু*মকি দিলো, আবার এখন একটি অডিও রেকর্ড বের হলো, তাতে তার কথোপকথন শুনলেই মনে হচ্ছে তিনি ভিন্ন একটি উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছেন।
আপনি আমি যেই উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন করতে ৫ই আগষ্টে দলমতের লোকদের নিয়ে কাজ করেছি, সেখানে এই মাহফুজরা বর্ণ চোরা হিসেবে ভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করেছে, যা এখন সকলের কাছে স্পষ্ট! বরং জামায়াত যাতে এই মাহফুজদেরকেই তাদের পিপল বলে মেনে নেয় সে জন্যও একটি সংস্থা ৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে কাজ করেছে। মুলত এরা সর্ব অবস্থাতেই জামায়াত শিবির বিরোধী কাজ চালু রাখতেই এ উদ্দ্যোগ নিয়েছে। নতুন সরকারে সবাই জামায়াত আছে বলে স্লোগান দিতে দিতে এখন একজনও জামায়াত নেই! একসময় আসিফ নজরুল থেকে শুরু করে সবাই জামায়াত শিবির ছিলো! এখন একজনও জামায়াত শিবির নেই। বরং যতোদিন জামায়াতকে প্রয়োজন ছিলো ঠিক ততোদিনই তারা ব্যাবহার করেছে! আর এখন সবাই চোখ উল্টিয়ে ফেলেছে।
আমার কাছে আগামী ৪টি জিনিস বেশ সন্দেহের দিকে দেখছি! ১। জামায়াতের নিবন্ধন ২। এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ৩। নির্বাচনে জামায়াত কে কোনঠাসা রাখা ৪। জুলুম নির্যাতন অব্যহত রাখা! এই ৪টি কাজই এক বিশেষ দেশের বিশেষ পরিকল্পনায় পরিচালিত হচ্ছে। তারা মুলত সর্বঅবস্থায়ই শিবির জামায়াতকে চাপে রাখতে চায়!
জামায়াত শিবিরকে রাজনীতিতে এক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশলে পথ চলতে হবে। ১। এখন থেকে দেশ বিরোধী সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ প্রকাশ্যে ও ব্যানার সহ করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদ তো ফেরেস্তা নয়, যে তাদের বিরুদ্ধে বলা যাবেনা, বরং তাদের বিরুদ্ধে সভাসমাবেশে প্রকাশ্যে বলাবলি শুরু করতে হবে। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতেই এখন থেকে এ কাজগুলো করতে হবে। ২।
শুধু বিচার আইনের অপেক্ষায় না খেকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনুসের সাথে বসতে হবে। যেই উপদেষ্টারা প্রকাশ্যে জামায়াত শিবিরের পিছনে লেগেছে তাদেরকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করতে হবে। ৩। সব ইস্যুতে সমগ্র বাংলাদেশের অলিতে গলিতে মিছিল মিটিং বাড়াতে হবে। হীনমন্যতার কি আছে? হীনমন্যতা বাদ দিয়ে বরং শক্ত হতে হবে। মনে রাখবেন হাসিনা ছিলো প্রকাশ্য শত্রু, আর এরা এখন গোপন শত্রু। প্রকাশ্যের চাইতে গোপন শত্রু অতি ক্ষতিকর!!
এই কাজগুলো দ্রত না করতে পারলে ক্ষতি থেকে উত্তরণ হতে আর সময় পাবেনা জামায়াত শিবির। এদের একটি মহাপরিকল্পনা হচ্ছে নির্যাতিত এই দলটিকে কোনঠাসা করে রাখা হবে! যে কোন মুল্যে এই সকল চ্যালেন্জ মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক হতেই হবে না হয় পস্তাবেন! ধন্যবাদ।
লেখক : ড. ফয়জুল হক