30.4 C
Dhaka
Wednesday, June 25, 2025

বিয়ে হওয়ায় ছাত্রীকে স্কুলে আসতে নিষেধ করলেন প্রধান শিক্ষক

যশোরের ঝিকরগাছায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের অপরাধে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন প্রধান শিক্ষক। বিয়ের কারণে স্কুলে আসতে নিষেধ করায় রোববার (৩০ জুন) থেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন ওই স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী ঈদের পর পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। বিবাহিত হওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন। এমনকি ওই ছাত্রী স্কুলে পুনরায় যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে প্রধান শিক্ষক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। বর্তমানে স্কুলে আসছে না ওই শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুনঃ  যেভাবে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ

ওই ছাত্রীর চাচা সুরত আলী বলেন, আমার ভাতিজি ছাত্রী হিসেবেও অনেক ভালো। সে নিজের ইচ্ছায় সম্পর্ক করে বিয়ে করেছে। বিবাহিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক তাকে আর স্কুলে রাখতে চাচ্ছে না। আমি অভিভাবক হিসেবে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও সে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। পরে অন্য মাধ্যম দিয়ে শিক্ষককে বলেছি মেয়েকে টিসি দিয়ে দিতে।

প্রধান শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ওই মেয়েটি ভালো ছাত্রী ছিল। দশম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকেই বাইরের ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করে। পরে বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল। ঈদের পরে মেয়েটি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করে ফেলে। তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে পরীক্ষার সময়ে পরীক্ষা দিবে।

আরও পড়ুনঃ  এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুতে বড় সুখবর দিল বিআরটিএ

তিনি বলেন, মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করেছে। সে স্কুলে আসলে বিবাহিত জীবনের নানা গল্পের কারণে অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে। স্কুলের অন্য ছাত্রীরা অভিযোগ দিয়েছে, শিক্ষকরাও বলছে ওই মেয়ে স্কুলে আসলে অন্য শিক্ষার্থীরা স্কুল ছেড়ে দিবে।

ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আসলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো আইন নেই যে, একটা মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে তাকে স্কুলে রাখা যাবে না। তবে এখানে সাইকোলজিক্যাল একটা বিষয় থাকে।

তিনি বলেন, অনেকগুলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের মধ্যে একটা বিবাহিত মেয়ে থাকলে একটু সমস্যা হতে পারে। তারা বান্ধবীদের সঙ্গে নানা ধরণের গল্প করবে। এতগুলোর মেয়ের মধ্যে একটা বিবাহিত মেয়ে থাকলে সেটা যেভাবেই হোক পরিবেশ ভিন্ন দিকে যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগ করা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, স্কুলছাত্রীকে প্রতিষ্ঠানে না রাখার বিষয়টি সম্পূর্ণ ম্যানেজিং কমিটির ওপর নির্ভর করছে। তারা যদি ইচ্ছা করে ওই ছাত্রীকে রাখতে পারে। আবার যদি টিসি দেয়ও তাহলে তাদের একথাও বলা যাবে না কেন টিসি দিলেন, মেয়েকে স্কুলে রাখতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুলের সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজিং কমিটি।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ