ঈদ জামাতের পাশাপাশি পশু কোরবানির মধ্যদিয়ে সোমবার (১৭ জুন) দেশব্যাপী পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ দিনে স্বজন ছাড়াও পরিচিতদের সঙ্গে সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
তবে ঈদের দিনটি ভালো কাটেনি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের। এক ফেসবুক পোস্টে বাবাকে ছাড়া ঈদের দিন কাটানোর কষ্টের কথা জানিয়েছেন তিনি।
ওই পোস্টে আনারকন্যা লিখেন, ‘কে দেখবে আমার কান্না আব্বু? মাঠে ঈদের নামাজ পড়াচ্ছে, আব্বু তুমিতো ভোরে সবার আগে উঠে ঈদগাহতে যাও আব্বু। আজ তুমি নেই আব্বু। তুমি কি জানো, আব্বু সবাই দাড়িয়ে কাঁদছে। আমি ঘুমাতে পারছি না আব্বু। তুমি নেই, আজ কেউ আর আমাদের বাসা থেকে বের হয়ে ঈদগাহে গেল না।’
নিজে ভালো নেই জানিয়ে তিনি আরও লিখেন, ‘আব্বু আজ আমার জীবনে প্রথম তোমাকে ছাড়া ঈদের দিন। আল্লাহ তুমি এমনটা কেন করলে? আমারতো কষ্ট হচ্ছে। সবাই ঈদের নামাজ পড়তে যায়, কিন্তু আমার বাবা যায় না। আমার তো শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আমি ভালো নেই আব্বু তুমি তো জানো।’
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজিম।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের।
২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সাঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি বহুতল আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
২৮ মে সন্ধ্যায় সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।