26.4 C
Dhaka
Monday, July 14, 2025

ঈদের পর ফের বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ

সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে বাংলাদেশ যেন আক্রান্ত না হয় সেজন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে।

ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন ওপার থেকে গোলাগুলি কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে না এলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সীমান্তে। এ অবস্থায় ঈদের দিন পার হতেই ফের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসায় দ্বিগুণ হয়েছে এপারের বাসিন্দাদের আতঙ্ক। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত ঘেঁষে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের কয়েকটিতে ভূমিকম্পের মতো কম্পন সৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে।

আরও পড়ুনঃ  'দীর্ঘ হবে সরকারের মেয়াদ'

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল আটটার পর থেকে সন্ধ্যা অবধি থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়টি ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। রোববার ও সোমবার আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে ওপার থেকে। এতে ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বেশ কয়েকটি অংশ।

আরও পড়ুনঃ  জানা গেল চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন দেয়ার কারণ

পরিস্থিতির বর্ণনায় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদের পরদিন সকাল আটটার পর থেকে মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম কেঁপে ওঠে।

এদিকে রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমায় বেশ কয়েকটি জলযান এসেছে বলে খবর পেয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  ‘ফায়েজ বেলালের প্রতিটা অভিযোগ মিথ্যা’

মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যেকোন ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি আর কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ