30.3 C
Dhaka
Tuesday, May 20, 2025

দুঃখ লাগছে, রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে তারা রাজাকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজেদের রাজাকার ঘোষণা দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের স্লোগান লজ্জার। দুঃখ লাগে যখন শুনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও নিজেদের রাজাকার দাবি করে স্লোগান দেয়। সোমবার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছে, লাখো মা-বোন নির্যাতিত হয়েছে। তাদের অবদান ভুললে চলবে না। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানি হানাদার আর রাজাকাররা যেভাবে অত্যাচার করেছে…দুঃখ লাগে যখন শুনি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও নিজেদের রাজাকার দাবি করে স্লোগান দেয়।

আরও পড়ুনঃ  আন্দোলনের সময় ছাত্রদের সঙ্গে কুকর্ম করেছিলেন সেই ঊর্মি

তারা কি জানে ২৫ মার্চ কী ঘটেছিলো সেখানে? ৩০০ মেয়েকে হত্যা করেছিলো, ৪০ জন মেয়েকে রেইপ করেছিলো এবং এদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিলো।

তিনি আরও বলেন, অনেক মেয়ে শাড়ি বা ওড়না দিয়ে ফাঁসি দিতো বলে তাদের কাপড় পরতে দেয়া হতো না। পেটিকোট পরিয়ে বসিয়ে রাখতো। দিনের পর দিন পাশবিক অত্যাচার হতো। মিত্র বাহিনীর একজন শিখ সৈন্য মাথার পাগড়ি পেচিয়ে একজন মেয়েলে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এমন একটা ঘটনা না, এমন বহু ঘটনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না। দুর্ভাগ্য এখন মেয়েরা স্লোগান দেয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের। কোন দেশে আছি, তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে, কী শিক্ষা তারা নিলো?

আরও পড়ুনঃ  ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর ক্ষমতা ছাড়বে অন্তর্বর্তী সরকার

সরকারপ্রধান বলেন, ৭৫ এর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়। জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিলো। যুদ্ধাপরাধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে সেটা কখনও হতে পারে না। বিজয়ের মর্যাদা ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য ছিলো।

দুর্নীতিরোধে মাঠ পর্যায়েও নজর দেয়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স, এ নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। যেখানে অনিয়ম দেখবেন সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা নিন। দুর্নীতি করে কম লোক, কিন্তু বদনাম হয় বেশি। যারাই দুর্নীতিতে জড়িত তাদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।

আরও পড়ুনঃ  অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

চক্রান্ত করে খাদ্যের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যেন চক্রান্ত করে খাদ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। এছাড়া এবার বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা আছে। বন্যায় অনেক সময় ফসল নষ্ট হয়। কাজেই খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যেন কারও কাছে হাত পাততে না হয়।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ