34 C
Dhaka
Saturday, April 26, 2025

সীমান্তে ধরা খেয়ে যা বললেন সাবেক বিচারপতি মানিক

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতে পালানোর সময় সীমান্তে তাকে আটকের কথা জানায় বিজিবি।

এদিকে আটকের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে বিজিবির সদস্যরা নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, কী কী নিয়ে পালাচ্ছিলেন-এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি মানিক বলেন, ‘আমার সঙ্গে ছিল ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট, নগদ কিছু টাকা, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড।’

এ সময় পাশ থেকে একজন জানতে চান, আজকে আটকের সময় আপনার সাথে কী ছিল? জবাবে সাবেক এই বিচারপতি জানান, ‘তেমন কিছু ছিল না। চল্লিশ হাজারের মতো টাকা ছিল। গতকাল ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার মতো ছিল। ওটা নিয়ে গেছে।’

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতের নিবন্ধন আটকে থাকার দুই প্রধান কারণ!

নৌকাওয়ালা নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেগুলো ওই দুই ছোকরাই নিয়েছে। আমার সঙ্গে কিচ্ছু নাই, ফোন-ফোন নম্বর সব নিয়ে গেছে।’

বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসছিলাম, ওই টাকা আমি তাদের দিয়েছি। কিন্তু পরে ওই দুই ছেলে আমাকে মারধর করে সব নিয়ে গেছে।’

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ সাবেক বিচারপতি মানিকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। আরেকজন তার নাম জিজ্ঞেস করছেন। এ সময় বিচারপতি মানিক তার পুরো নাম বলেন এবং তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ বলে জানান।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমাকে রিমান্ডে কী করেছে বললে কী হবে জানি না’

এ সময় কয়েকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন। তখন বিচারপতি মানিক বলেন, প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম। তখন অপর পাশ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন। তখন তিনি বলেন, আমি কোনো জুলুম করিনি।

এদিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ১৯ আগস্ট জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে মানিকের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সাবেক বিচারপতি মানিক। তিনি বলেছিলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন পাকিস্তানের চর’। জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর বক্তব্য দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  শোক দিবসের ছুটির বিষয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যা প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। তার এমন মন্তব্যে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিশেষ করে গত জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় চ্যানেল আই-তে প্রচারিত টকশোতে মানিক ঔদ্ধত্য ও কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, অপমানজনক বক্তব্য ও আচরণ করেন, যা সারা দেশবাসী দেখেছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।

মামলার বাদী রবিউল হাসান পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক বিচারপতি মানিক জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তাই এই মামলা দায়ের করেছি।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ