27 C
Dhaka
Saturday, October 18, 2025

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে কি না, যা জানা গেল

চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য আসছে সুখবর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে অবসরে যাওয়ার সময়ও। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ চলছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) একাধিক গনমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে— শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে আরও বলা হয়েছে— চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে এ বিষয়ক বিধি-বিধান কোথায়, কী সংশোধনের প্রয়োজন হবে– তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠলেও মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ এবং অবসরের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৬২ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষক পদত্যাগের নামে সারাদেশে যা হচ্ছে সেটা সমর্থনযোগ্য নয়: সারজিস আলম

রাষ্ট্র সংস্কারে সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, এর মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের প্রধান হয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এই কমিশনও বয়সসীমার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। এখন সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩০ আর অবসরের জন্য ৫৯ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা আছে।

এ ব্যাপারে সরকার-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকার জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে। চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়াতে সুপারিশ করবে কিনা, তা এ কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত।

আরও পড়ুনঃ  এটা মেজর ডালিম না: সাল*মান মুক্তাদির

মূল বিষয়টি হলো, জনগণকে সুশাসন কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে এ কমিশন যদি মনে করে, সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ও অবসরের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন, তারা সরকারকে সুপারিশ দেবে।

বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি কী— তাও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদন গুলোতে। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. শরিফুল হাসান শুভ বলেন, দেশের জাতীয় যুবনীতিতে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের যুবক বলা হলেও ৩০ বছর হলেই তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৫৭ বছর। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর হলেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  তাহেরিকে ওয়াজ করতে না দেওয়ায় পুলিশের মাথা ফা..টালো জনতা

চাকরির আবেদনের বয়স বাড়ানোর আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা খাতুন মুক্তা বলেন, প্রতিযোগিতার এ সময়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিতে ৩০ পেরিয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের কারণে বয়সসীমা একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে আসে।

এতে করে কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। দেশে এখন ২৬ লাখ বেকার। তাদের মধ্যে অধিকাংশই বয়সসীমা পার করায় হতাশায় ভুগছেন। বয়সের কারণে অর্জিত সনদ অকেজো হয়ে যাবে, এটা হতে পারে না।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ