26.6 C
Dhaka
Wednesday, August 6, 2025

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে বিএনপির রিভিউ

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক এক রায়ে বাতিল করে দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। যে রায় ধ্বংস করে দেয়, নির্বাচন ব্যবস্থা। অবশেষে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আপিল বিভাগে রিভিউ করলো বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আবেদন করেন।

২০১১ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়। সংক্ষিপ্ত রায়ে আরও দু’বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে বলা হলেও শেখ হাসিনাকে খুশি করতে মূল রায়ে তা আর রাখেননি, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।

আরও পড়ুনঃ  সৌদি আরবে বাইক রাইডারদের জন্য দুঃসংবাদ

তবে এনিয়ে কখনও প্রকাশ্যে কথা বলেননি, খায়রুল হক। যদিও পুরস্কার হিসেবে ৯ বছর আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন, আলোচতিত সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।

তত্ত্বাবধায়ক ফেরাতে রাজপথে বিএনপিসহ বিরোধীজোট আন্দলোলন করলেও তা হালে পানি পায়নি। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরই তত্ত্বাবধায়ক ফেরাতে আইনি লড়াইয়ের কথা জানান, দলটির মহাসচিব।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এটার ওপর কাজ করছেন। ফাইনাললি আমরা সিদ্ধান্ত নেই এটা নিয়ে রিভিউয়ে যাব।

বুধবার বিএনপির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় রিভিউ দায়ের করেন, খোদ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরও পড়ুনঃ  এবার নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের মহাসচিব সাহেব এটার পক্ষ হয়েছেন। একটা রিভিউ পিটিশন ফাইল করেছি। আমরা দেখেছি যে, তিনি সাইন করেছেন লাইট অব দ্য অ্যামেনমেন্ট অব দ্য কনস্টিটিউশন। শর্ট অর্ডার আর লং অর্ডারের মধ্যে একটা বড় পার্থক্য এখানে আছে।

রিভিউয়ে ১০টি গ্রাউন্ড তুলে ধরেছে বিএনপি। বলা হয় এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল। কিন্তু আপিল বিভাগের চারজন বিচারপতি তত্ত্ববধায়ক সরকার বাতিল করলেও তিনজন তা রাখতে বলেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  আজ সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি

ষোড়শ সংশোধনী মামলায় বিএনপি নিযুক্ত আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এই রায়টা পাস করা হয়েছিল স্কিম মেজরিটি ৪/৩। ৪ জন একদিকে ৩ জন একদিকে। আমরা এটা বলেছি ৪ জন এবং ৩ জনে যখন ভাগ হয় এর অর্থ হলো এই রায়ের ব্যাপারে তখনকার সুপ্রিমকোর্টে যে ৭ জন বিচারপতি ছিলেন তারা স্কিম মেজরিটি বিভক্ত হয়েছিলেন। এর অর্থ হলো এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় ফ্রড এখানে দেখা যাচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্ট খুললে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর শুনানির আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ