27 C
Dhaka
Friday, June 20, 2025

পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য হলেন ‘শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামী’ চবি শিক্ষক রন্টু দাশ

২০১২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৎকালীণ ছাত্রশিবির নেতা মাসুদ বিন হাবিব হত্যা মামলার আসামী ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রন্টু দাশকে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করলেন একদল শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রক্টর অফিসে বসে চবি উপাচার্য বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

পদত্যাগপত্রে রন্টু দাশ কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। তবে উপাচার্য বরাবর পাঠানো এই পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, “আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী স্বেচ্ছায় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এ বিষয়ে আপনাকে অবগত করছি।”

জানা গেছে, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর দাবি করে এ শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছেন একদল শিক্ষার্থীরা। পরে তোপের মুখে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  আদালতে চিৎকার দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলো সোলায়মান সেলিম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ আমার হাতে আসেনি।

পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কারণ জানতে চবি শিক্ষক রন্টু দাশের নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, ২০১২ সালে ছাত্রশিবির নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মাসুদ বিন হাবিব হত্যায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে নিয়ে লেখালেখি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে। আজ তিনি পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য হলেন।

আরও পড়ুনঃ  সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে দু’শিবির নেতা নিহত হয়েছিলেন। এরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মুজাহিদুল ইসলাম মুজাহিদ ও ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাসুদ বিন হাবিব।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় ১২ ফেব্রুয়ারি ৪২ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫ থেকে ৪০ জনকে। সেখানে রন্টু দাশের নামও ছিল। তখন চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন রন্টু দাশ।

আরও পড়ুনঃ  যে বার্তা দিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি

অভিযোগ রয়েছে, রন্টু দাশ শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকায় যোগ্যতা শিথিল করে চবিতে শিক্ষক হয়েছিলেন। শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার উভয়টিতে ন্যূনতম জিপিএ-৩.০ পয়েন্ট এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পৃথকভাবে ৩.৫ থাকতে হবে। কিন্তু এইচএসসিতে ২.৯ পেয়েও চবিতে শিক্ষক হয়েছিলেন রন্টু দাশ। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ