28.7 C
Dhaka
Sunday, August 10, 2025

আমেনা হত্যার চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন, জড়িত পুলিশ সদস্য

অবশেষে বেরিয়ে এলো চট্টগ্রামে টিকটকার আমেনা হত্যার রহস্য। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইয়ের) পনের দিনের টানা চেষ্টায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পিবিআই জানায়, বিয়ে নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করে বিদেশে পালিয়েছে স্বামী। হত্যা পরিকল্পনায় ছিল তারই বন্ধু এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।

গত ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের পাহাড়ে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় আমেনা বেগম নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই। সংস্থাটি জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে ভিডিও বানিয়ে বেশ জনপ্রিয় আমেনা বেগম।

আরও পড়ুনঃ  রেমালে রেহাই পেল ঠিকই মোমের আগুনে নিভল তাজা প্রাণ

মরদেহ উদ্ধারের পর ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডে ছায়া তদন্ত শুরু করে ব্যুরো পিবিআই। পনের দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি জড়িত এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কর্মকর্তারা জানান, ইয়াছিন আরাফাত নামে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে হয় আমেনার। এ দম্পতির এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এটা ছিল আমেনার তৃতীয় বিয়ে। সবমিলে তার তিন সন্তান। তবে সম্প্রতি ইয়াছিন আরেকটি বিয়ে করায় এ নিয়ে তৈরি হয় দ্বন্দ্ব। এর জের ধরেই খুন করা হয় আমেনাকে।

আরও পড়ুনঃ  সাড়ে ৪শ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে নেয়ার আগেই

পিবিআই আরও জানায়, খুনের পরপরই বিদেশে পালিয়ে যায় ইয়াছিন। বাল্যকালের বন্ধু জাহেদ নাবিল ও পুলিশ সদস্য ইরফান হোসেনকে নিয়ে এ হত্যা পরিকল্পনা করে ইয়াছিন। তাদের সহযোগিতায় গত ২ অক্টোবর রাতে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় আমেনাকে। এদিকে, মাকে হারিয়ে তিন শিশুই থাকছে নানির হেফাজতে। আর নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান স্বজনরা।

এ ব্যাপরে তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, ভিকটিমের স্বামী ইয়াসির আরাফাত তাকে না জানিয়ে আরেকটা বিয়ে করে। যাতে করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ভবিষতে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলোহ দেখা দিতে পারে ভেবে আমেনাকে হত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ  প্রশংসায় ভাসছে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

চট্টগ্রাম জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দীন জানান, মূলত পারিবারিক দ্বন্দ্বে হত্যা করা হয় টিকটকার আমেনাকে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

এদিকে গ্রেপ্তার ইরফান হোসেন রাঙ্গামাটি গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন আর জাহেদ নাবিল পেশাদার অপরাধী বলে জানায় পিবিআই। এই খুনে ব্যবহৃত ছোরা এবং গাড়িটি জব্দ করেছে পিবিআই।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ