28 C
Dhaka
Sunday, October 19, 2025

‘হিল্লা বিয়ের’ ফতোয়া নিতে মাদ্রাসাশিক্ষকের কাছে নারী, অতঃপর…

গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘হিল্লা বিয়ে’ দিয়ে মসজিদের ভেতরে নারীর সঙ্গে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে অন্তরঙ্গ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইমামের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ৮ মাস আগের হলেও সম্প্রতি জানাজানি হয়েছে। এতে ওই ইমামকে বরখাস্ত করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

বরখাস্ত হওয়া ইমাম হলেন, কফিল উদ্দিন। তিনি শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ি পশ্চিম পাড়া আরফান আলী শাহী জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ ওঠা ব্যক্তি হলেন ইসমত আলী আশেকী, তিনি উপজেলার টেংরা মধ্যপাড়া এলাকার একটি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরখাস্ত ইমাম কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, আশেকী হুজুর যে নারীকে সঙ্গে করে এনেছিলেন আমি তার সঙ্গে হুজুরের বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  পহেলা মে থেকে সারা দেশে ডিম-মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা

স্থানীয়রা জানান, মসজিদের ভেতর শারীরিক সম্পর্ক করার বিষয় জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দাবির মুখে মসজিদের ইমাম কফিল উদ্দিনকে বরখাস্ত করে মসজিদ কমিটি।

এ বিষয়ে টেপিরবাড়ি পশ্চিমপাড়া আরফান আলী শাহী জামে মসজিদের সভাপতি আলফাজ উদ্দিন স্বপন বলেন, গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক নারী কয়েকজন সংবাদকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদে এসে অভিযোগ করেন। ওই নারী আমাদের জানান, স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারা আবারও বিয়ে করতে চাইলে ওই নারী মাদ্রাসাশিক্ষক ইসমত আলীর কাছে আসেন। ইসমত আলী আরও পরামর্শ নেওয়ার জন্য মসজিদের ইমাম কফিল উদ্দিনের কাছে নিয়ে আসেন। কফিল উদ্দিন ওই নারীকে ইসমত আলীর সঙ্গে ‘হিল্লা বিয়ে’ দেন। এরপর ইমামের পাহারায় মসজিদের ভেতরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

আরও পড়ুনঃ  সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে কি না, যা জানা গেল

আলফাজ উদ্দিন আরও বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইমামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টির সত্য মিথ্যা যাচাইবাছাইয়ের পর মুসল্লিদের সঙ্গে নিয়ে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, মসজিদের ভেতর আশেকী হুজুর যে কাজ করেছে সেটি পাপ কাজ করেছে। তিনি আমাকে এক ঘণ্টার জন্য বিয়ে করে শারীরিক সম্পর্ক করে তালাক দিয়েছেন। পরে তিনি বলেছেন, তিন মাস পর আমি বিয়ে করতে পারব। আমি তার বিচার চাই।

অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক ইসমত আলী আশেকী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছে তারা এসেছিল। পরে অনুরোধ করলে আমি ওই নারীকে আরেকজনের মাধ্যমে হালাল করে দিয়েছি। কার সঙ্গে হালাল করা হয়েছিল? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি প্রথমে বলেন, পরে জানাব, আমি এখন মাহফিলে যাচ্ছি। পরবর্তীতে তিনি বলেন, যার সঙ্গে হিল্লা বিয়ে করিয়ে দিয়েছিলাম এখন তার নাম ঠিকানা বলতে পারব না।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ