27.7 C
Dhaka
Wednesday, June 25, 2025

টেকনাফে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রাণ নিয়ে ফিরেছে অপহৃত জসিম

কক্সবাজার টেকনাফে গত ১০ দিন আগে গভীর রাতে নিজ দোকান থেকে অস্ত্রধারী অপহরণ চক্রের হাতে অপহৃত হওয়া সেই মুদি দোকানদার জসিম উদ্দিন জসিম উদ্দিন অবশেষে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে মুক্তি মৃত্যুর দূয়ার থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে এসেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনেরা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের দাবি মোতাবেক মুক্তিপণ দিতে জমিন বিক্রি করতে হয়েছে। জমিন বিক্রি করা নগদ ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর জসিমকে ছেড়ে দিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ বাহার ছড়া ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ৯ জানুয়ারি (বুধবার) নগদ ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে ১০ দিন আগে অপহৃত হওয়া জসিম উদ্দিনকে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাদের স্বজনরা তাকে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল বাংলাদেশ

উল্লেখ্য-গত ৩০ ডিসেম্বর (সোমবার) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নর অন্তর্গত পাহাড়ী এলাকা সংলগ্ন বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা র নাজিম উদ্দিন মাস্টারের পুত্র মুদি দোকানদার জসিম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করেছিল।

ঐদিন রাতে ১৫/২০ জনের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে অপহৃত জসিমের নিজের মালিকানাধীন মুদির দোকান থেকে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ের দিকে নিয়ে গিয়েছিল।

উক্ত ঘটনার পর থেকে অপহরণকারীরা জসিমের পরিবারের কাছ থেকে নগদ ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। সময় মতো টাকা না পেয়ে জসিম উপর অনেক নির্যাতন করেছিল তারা। পাশাপাশি নির্যাতন করার ভিডিও চিত্র গুলো পরিবারের কাছে প্রেরণ করেছিলেন সন্ত্রাসীরা।

আরও পড়ুনঃ  শেখ মুজিবের ছবিতে মন্তব্য করায় ৪ মাসের জেল, শিক্ষা জীবন শেষ

অবশেষে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দিয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই শোভন কুমার সাহা সময়ের জানান, মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসার বিষয়টি আমাদের অবগত নয়। উক্ত বিষয়ে পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি জসিমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা এবং অভিযুক্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি অভিযান অব্যাহত ছিল বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুনঃ  শাখায় টাকা রাখার জায়গা নেই, ট্রাকে করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে

পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্য সুত্র দেখা যায়, গত এক বছরে কক্সবাজার গত এক বছরের মধ্যে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯২ জনকে অপহরণ করেছে উক্ত চক্রের সাথে জড়িত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ