মাদারীপুরের শিবচরে নিখোঁজের ১০ দিন পর ফজিলাতুন্নেছা (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মরদেহ বুধবার বিকেলে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্য–প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গ্রেপ্তারের সময় সোহাগের কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, মোবাইলফোন সেট ও সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। মূলত স্বর্ণের চেইন ও মোবাইলফোনের জন্যই বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর হোগলার মাঠ গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ভিটার মেহগনি বাগান থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফজিলাতুন্নেছা ওই গ্রামের মৃত্যু রহমান আকনের স্ত্রী। নিহতের মরদেহ উদ্ধারের আগে ১৩ জানুয়ারি নিহতের মেয়ে রেখা শিবচর থানায় তাঁর মায়ের নিখোঁজ হওয়ার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর শিবচর থানা পুলিশ ও পুলিশের একটি বিশেষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার একই উপজেলার বৈকন্ঠপুর হোগলার মাঠ এলাকার মফিজ হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সোহাগ হাওলাদার আদালতে ১৬৪ ধারায় ফজিলাতুনেচ্ছাকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার সোহাগ মোবাইলে গেম খেলার টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নিহত ফজিলাতুনেচ্ছার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও মোবাইল সেট নিয়ে যাওয়ার লোভ থেকেই গলায় রশি বেঁধে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে পাশের একটি মেহগনি বাগানে বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিবচর সার্কেলের এএসপি আজমীর হোসেন, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।