29.6 C
Dhaka
Wednesday, June 25, 2025

জামাতে নামাজ না পাওয়ায় ইমামকে পেটানোর অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইফতারের পর মসজিদে মাগরিবের নামাজ জামাতে পড়তে না পেরে ইমামের ছেলেকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওমর আলী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পরপরই চরবাগডাঙা এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মাগরিবের নামাজের পর সদর উপজেলার চরবাগডাঙা ইউনিয়নের গিধনি পাড়ার মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। ওমর আলী চরবাগডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

আহত ব্যক্তি চরবাগডাঙা ইউনিয়নের গিধনি পাড়ার সোলেমান বিশ্বাসের ছেলে মো. রুহুল আমিন। তিনি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ব্যারিস্টার সুমন এখন কোথায়?

আহত রুহুল আমিন বলেন, আমার বাবা গিধনি পাড়ার মসজিদের ইমাম। বৃদ্ধ বাবা অনুপস্থিত থাকায় আমি মাগরিবের আজান দিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে মুসল্লিদের অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়ানো শুরু করি। কিন্তু বিলম্বে মসজিদে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী। এসেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন। নামাজ শেষে এক পর্যায়ে আমার ওপর হাঁসুয়া নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করেন।

রুহুল আমিনের ভাই ইমদাদুল হক বলেন, ইফতার শেষে মসজিদের অন্য মুসল্লিদের অনুমতি নিয়েই নামাজ শুরু করা হয়। এরপরও ওমর আলী তার ভাইদের নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।

আরও পড়ুনঃ  পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পাচ্ছে বাংলাদেশ, এ যেন দক্ষিণ তালপট্টির জবাব!

তবে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে চরবাগডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী বলেন, ইফতার শেষ করে মসজিদে গিয়ে দেখি নামাজ শেষ হয়ে গেছে। তাই ইমামের ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছি কেন এত আগে নামাজ শেষ হলো। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান বলেন, ওমর আলী এক ইমামের ছেলেকে মারধর করেছে বলে ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন রুহুল আমিন। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ