34 C
Dhaka
Saturday, April 26, 2025

থানার সামনে ফিল্মি গ্যাং স্টাইলে তোলা ছবি ফেসবুকে, সমালোচনার ঝড়

নরসিংদীর রায়পুরা থানার মূল ফটকের সামনে ফিল্মি কায়দায় মাফিয়া গ্যাং স্টাইলের কিছু যুবকের বেপরোয়া আচরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিগুলোতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক রাতে একটি মাইক্রোবাসের সামনে ও ছাদে উঠে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে ছবি তুলছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মাইক্রোবাসের দরজা খুলে, কেউবা ছাদে দাঁড়িয়ে, আবার কেউ গুণ্ডা-বখাটে ধাচের ভঙ্গিতে পোজ দিচ্ছে।

এ ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন যে, রায়পুরা থানা কি কিশোর গ্যাংয়ের দখলে? আবার কেউ কেউ এটিকে চরম বেপরোয়া মনোভাবের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেছেন।

জানা যায়, রমজানের প্রথম দিন রোববার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আরমান মিয়া আইনি পরামর্শ নিতে থানায় যান। তার সঙ্গে ওই যুবকরাও থানার সীমানার ভেতরে আসে। এরপর যখন আরমান মিয়া থানার ভেতরে প্রবেশ করেন, তখন সুযোগ পেয়ে তারা বাইরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তোলে। ছবিতে ৭ জন যুবককে লক্ষ্য করা যায়। তাদের বয়স আনুমানিক ১৭ থেকে ২০ বছর হবে। এমতাবস্তায় তারা বুধবার (৫ মার্চ) মাফিয়া ভঙ্গিমায় বিভিন্ন স্টাইলে ছবি তোলে তা টিকটিকে আপলোড করে। পরে এটি নেটিজেনদের নজরে এলে ফেসবুক জুড়ে উঠে সমালোচনার ঝড়।

আরও পড়ুনঃ  জামার ভেতরে কী পরেছ, সব তো দেখাই যাচ্ছে— ছাত্রীকে রাবি শিক্ষক

মরজাল ইউনিয়নের প‍্যানেল চেয়ারম্যান মো. আরমান মিয়া বলেন, প্রথম রমজানের দিন ইফতারের পরে আমি রায়পুরা থানাতে যাই একটি বিষয় নিয়ে। আমি থানাতে যাওয়ার পর তারা এই মাইক্রোবাস নিয়ে থানাতে আসে ফুটবল খেলার অতিথি করার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। আমি তখন তাদের সাথে এই ব‍্যাপারে কথা বলি কিন্তু কোন সময় তারা এই অঙ্গভঙ্গি দিয়ে ছবি তুলেছে তা আমি দেখেনি। তারা এসব ছবি তুলেছে টিকটকে দেওয়ার জন্য ।

তিনি আরও বলেন, ছেলেগুলো খুব ভালো। কেউ কেউ ব্যবসা করে। আর কেউ কেউ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। উপজেলার অলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল-আমিন ভূইয়া মাসুদ এর সাথে আমার ব্যবসায়িক কিছু লেনদেন আছে এবং আমি তাদের কিছু অনিয়মের কাজে বাঁধা প্রদান করায়, তাদের কিছু আওয়ামী মাইন্ডের লোকেরা কারসাজি করে ফাঁসানোর জন্য এই কাজগুলো করেছে। তবে ছেলেগুলো খুবই ভালো, তারা কোনো অবৈধ কাজের সাথে জড়িত নয়।

আরও পড়ুনঃ  আ’ত্মহ’ত্যা করল নাহিদ

রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি আমরাও আজকে সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। ওই দিন মরজাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আরমান মিয়া থানায় একটি আইনি কাজে এসেছিলেন। উনার কাছেই ছেলেগুলো এসেছে, পরে তাকে ডেকে এনে কথা বলার পর উনার মাধ্যমেই দুই একজনের পরিচয় সনাক্ত করতে পেরেছি। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা এগুলো টিকটকের জন্য করা হয়েছে বলে জানায়। এটা আমরা নিজেরাও তদন্ত করছি, কিভাবে তুলল, এই সুযোগটাই কিভাবে পেলো? আমাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখছি, প্রযুক্তির সকল টেকনোলজি ব্যবহার করে আমরা হার্ডলাইনে কাজ করছি। পরবর্তীতে যেন এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ