28 C
Dhaka
Sunday, June 1, 2025

টাইমের প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস-ট্রাম্প, নেই কোনো ভারতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবংবিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। তবে এ বছর একজন ভারতীয়ও এই তালিকায় স্থান পাননি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এ বিষয়টিকে ‘বিস্ময়কর’ হিসেবে অভিহিত করেছে তারা। কারণ এর আগের বছরগুলোতে ভারতীয়রা ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান পেয়েছেনই।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের তালিকায় ছিলেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট এবং অলিম্পিকের কুস্তিগীর সাক্ষী মালিকের মতো ব্যক্তিত্বরা। কিন্তু এবার এতে কোনো ভারতীয়কে দেখা যায়নি।

টাইম ম্যাগাজিন ১০০ প্রভাবশালীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেটিকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। যারমধ্যে আছে ‘লিডার্স’, ‘আইকন’, ‘টাইটান’সহ আরও কয়েকটি ক্যাটাগরি। এরমধ্যে লিডার্স ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন ড. ইউনূস, ট্রাম্প ও অন্যান্য বিশ্বনেতারা।

আরও পড়ুনঃ  আবার যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ, রয়েছে নৈতিকতার বলে বলীয়ান ড. ইউনূসের নেতৃত্ব : দ্য ইকোনমিস্ট

এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতীয় কোনো নাগরিক এবারের তালিকায় স্থান না পেলেও ‘লিডার্স’ ক্যাটাগরিতে রেশমা কেওয়ালরামানি নামে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী রয়েছেন। মুম্বাইয়ে জন্ম হলেও ১১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি এবং দেশটির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। রেশমা কেওয়ালরামানি ভারটেক্স ফার্মাসিউটিক্যালসের সিইও-র দায়িত্ব পালন করছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ মার্কিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পাবলিক ও বড় বায়োটেকনোলজি কোম্পানির সিইও হয়েছেন।

এদিকে প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া ড. ইউনূসকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, “ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে গত বছর বাংলাদেশের স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, একজন চেনা নেতা: নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন।”

আরও পড়ুনঃ  জামাতে নামাজ না পাওয়ায় ইমামকে পেটানোর অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে

“কয়েক দশক আগে, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করতে ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। যা কয়েক লাখ মানুষকে নিজস্ব ব্যবসা শুরু, তাদের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে এবং তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছে। এই ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা নেওয়া ৯৭ শতাংশই নারী।”

এরপর ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত ও তার সঙ্গে কাজ করা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেছেন, “আমি ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রথম দেখা করি যখন তিনি তার ক্ষুদ্র ঋণের মতো একইরকম প্রোগ্রাম চালু করতে তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটন (সাবেক প্রেসিডেন্ট) এবং আমাকে সহায়তা করতে আরকানসাসে আসেন। এরপর থেকে আমি বিশ্বের যেখানেই গেছি। সেখানেই তার কাজের অসাধারণ প্রভাব দেখেছি।”

আরও পড়ুনঃ  ৯০ ফিলিস্তিনি নারী-শিশুকে মুক্তি দিলো ইস*রাইল

তিনি আরও বলেন, “এখন ড. ইউনূস তার দেশের ডাকে আরেকবার সাড়া দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছেন, জবাবদিহিতার দাবি জানাচ্ছেন এবং একটি ন্যায়বিচার ও মুক্ত সমাজের ভিত্তি স্থাপন করছেন।”

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ