26 C
Dhaka
Monday, April 28, 2025

এবার চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ

দিল্লির আকাশে ধোঁয়া আর তীব্র বায়ুদূষণের কারণে বাইরে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্টকর, মাঝে মাঝে দম বন্ধ হয়ে আসে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি প্রশাসন বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।

বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান থেকে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার জন্য হয়তো এটি কিছুটা সান্ত্বনা। বাইরে না যাওয়ার একটি অজুহাত তার কাছে আছে, কিন্তু দিল্লির আকাশের মতো হাসিনার ভাগ্যও গুমোট। তিনি নিজের ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন না। ভারত তাকে আশ্রয় দিলেও, তার ওপর রয়েছে নানা বিধিনিষেধ। বাইরে বের হওয়া প্রায় নিষিদ্ধ, এমনকি ফেসবুক লাইভেও তার মুখ দেখানো যাবে না।
এক সময়, যখন তিনি টিভির এয়ারটাইমের অর্ধেকটাই দখল করে রাখতেন, আজ তাকে ফেসবুকেও নাম গোপন রেখে কথা বলতে হয়। যেসব নেত্রী এক সময় হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তারা এখন তাকে এড়িয়ে চলছেন, তবে তার সব সুবিধা নিতে ভুলছেন না। আদালতে দাঁড়িয়ে হাসিনা বলেন, “যারা আমার বিরুদ্ধে ভুল করেছে, তারা আর কখনো আওয়ামী লীগ করবেন না।”

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নিহত ৪৬, আহত ৮৫

এমন কঠিন পরিস্থিতিতে হাসিনার জন্য এসেছে একটি নতুন দুঃখের খবর। আন্তর্জাতিকভাবে এই তথ্যটি প্রমাণিত হতে চলেছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন দমনে সরকারের যে সহিংসতা ছিল, তা মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ওয়ালকার তুর্ককার তুর্ক জানায়, গত বছরের সহিংসতার কারণে বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় পার করেছে। হাসিনা সরকার বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে দমন করেছে, যার ফলে দেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন নতুন ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে, এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদন এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনা নির্বাচনে লড়বেন কি না, টাইম ম্যাগাজিনকে স্পষ্ট করলেন জয়

এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনা সরকার সহিংস উপায়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এই প্রতিবেদনটি হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে একটি বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা চিরকাল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

হাসিনাকে হয়তো হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সেই বিখ্যাত সংলাপের মতো বলতে হবে, “আমার সামনে হাসবা না, আমি হাসি পছন্দ করি না, হাসি বন্ধ।”

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ