29 C
Dhaka
Friday, May 9, 2025

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে মর্মান্তিক মৃত্যু

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন (৬৪) নামে এক ইমাম নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

জানা গেছে, গত সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারী এশিয়ান হাইওয়ে রোডের পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন সদর উপজেলার কানাইকাটা তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামে।

শনিবার সকালে আবুল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ পড়ে সাইকেলযোগে কানাইকাটা তেঁতুলতলা ঘুন্টিরপাড়ে মক্তবে পড়াতে যান আবুল হোসেন।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে গার্লস স্কুলের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল

হরতকিতলা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে এসে কে বা কারা তার চোখে প্রথমে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সটকে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক অটোচালক তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আব্দুর রহিম বলেন, গত সোমবার আবুল হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনঃ  কোনো দলকে ক্ষমতায় বসাতে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নামেনি : ভিপি নুর

এ বিষয়ে আবুল হোসেনের ছোট ছেলে গোলাম মোস্তাফা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে নীলফামারী হাসপাতালে যাই। সেখানকার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বাবার অবস্থার অবনতি দেখে তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। আজ শনিবার ভোরে মারা যান তিনি। কে বা কারা এমন নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেছে জানি না। তিনি তো কোনো অপরাধী ছিলেন না। কেন হত্যা করলো আমার বাবাকে। আমরা বাবা হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’

নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘কী কারণে, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুনঃ  পাকি*স্তানে রিজার্ভের স্বর্ণ নদীতে!

তিনি আরও জানান, মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ