চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে মামলাটি করেন মায়ার প্রতিবেশী মো. শিপন।
মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে মোহনপুর এলাকা থেকে মামলার ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আরজু সরকার, জুয়েল, জীবন সরকার, মো. নবীর, মো. সিফাত ও মো. জুয়েল। তাদের বাড়ি মোহনপুর এলাকায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল কবির চৌধুরী বলেন, মায়া চৌধুরীর বাড়িতে আগুন দেয়াকে কেন্দ্র করে মতলব উত্তর থানায় শিপন মিয়া নামের এক ব্যক্তি এই মামলা দায়ের করেন।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানসহ এজাহার নামীয় ৪১ সহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত।
এর আগে শনিবার রাতে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাড়ির দুইটি ভবনে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশ জানায়, নিচতলায় আগুন দেয়ার আগে ফানির্চারগুলো গাড়িতে নিয়ে গেছে। পাশাপাশি মায়া চৌধুরীর কিছু স্মারক ছিল সেগুলোও নিয়ে গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে মায়া চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ঢাকায় একাধিক মামলা রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে বীর বিক্রম উপাধি পাওয়া মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০২৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।