ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করলে পাল্টা জবাব দেবে হিজবুল্লাহ। নির্দিষ্ট সময়সীমা নয় বরং তেলআবিবের আচরণের ওপর নির্ভর করবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রতিক্রিয়া। এক ভিডিওবার্তায় এ হুঁশিয়ারি দেন হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম। জানান- চুক্তিতে ইসরায়েলের সাথে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ থাকলেও সেটি অক্ষরে অক্ষরে মানতে বাধ্য নয় হিজবুল্লাহ।
দীর্ঘ ১৩ মাস সংঘাতের পর, গেলো বছরের নভেম্বেরে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল। চুক্তি অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা নেতানিয়াহু প্রশাসনের। হামলা বন্ধ করবে উভয়পক্ষ। মধ্যস্থতায় ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুদ্ধবিরতি দুমাসে গড়ালেও চুক্তির বাস্তবায়ন এখনও অন্ধকারেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূরণ হচ্ছে না শর্তসমূহ। হিজবুল্লাহর তরফ থেকেও এলো কঠোর হুঁশিয়ারি। গোষ্ঠীটি বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরে তারা চুপচাপ থাকলেও, উল্লেখিত সময়সীমা মানতে বাধ্য নয়।
হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম বলেন, চুক্তিতে থাকুক আর না থাকুক; এমন কোনো সময়রেখা নেই যা প্রতিরোধ বাহিনীর কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে। আমরা আগেও বলেছি, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে চুক্তি কার্যকরের সুযোগ দিচ্ছে। নিজেদের ধৈর্য্যের পরিচয় দিচ্ছি।
হিজবুল্লাহ মানলেও চুক্তি লঙ্ঘন করে লেবাননে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু সেই ধৈর্য্যেরও যে সীমা আছে। তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন আর নীতিলঙ্ঘনের ওপর নির্ভর করবে হিজবুল্লাহ’র ধৈর্য্যধারণ। দুমাস আমরা চুক্তির সময়সীমা মানতেও পারি, সেটা দীর্ঘও হতে পারে। সেটি পুরোপুরি নির্ভর করবে নেতৃত্বের