শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীনগর থানার একটি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি যুবদল নেতা তরিকুলকে গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের সদস্য তারিকুলকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে রাত ৯টার দিকে থানায় ছুটে আসেন শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান।
তিনি তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরীরর ওপর চাপ প্রয়োগ করেন।
পরে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমস, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, যুবদল নেতা রবিন, অপু, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশ্রাফুল ইসলাম শুভ, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ইমনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী থানায় এসে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে আসামি তারিকুলকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে এই সংবাদ উপজেলায় ছড়িয়ে পরলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি নেওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ আদালত থেকে পুলিশকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে রাখে।
রাত ১০টার দিকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আসামি তরিকুলকে হাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা। হট্টগোলের কারণে তারা যে আসামিকে নিয়ে চলে যাচ্ছে সে সময়ে আমরা বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। আমরা তাকে পুনরায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, আমি এলাকায় ছিলাম না। ঢাকায় দাওয়াতে গিয়েছিলাম। তবে থানা থেকে যুবদলের এক সদস্যকে আসামি হিসাবে ধরে আনলে সে পালিয়েছে বলে শুনেছি।