ভারতের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দুটি অঞ্চলে সীমান্ত প্রহরায় নতুন বেশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এই অঞ্চলের একটির বিপরীতে আছে বাংলাদেশের যশোর, আরেকটির উল্টোদিকে সাতক্ষীরা জেলা।
বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের প্রায় ৩৬৩ কিলোমিটার নদী সীমান্ত। ফ্রন্টিয়ারের নয়শো কিলোমিটারেরও বেশি এলাকার মধ্যে প্রায় চারশো কিলোমিটারে চিরাচরিত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া গেছে, বাকি প্রায় অর্ধেক এলাকায় এখনও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে বিএসএফ জানাচ্ছে।
কিন্তু এই এলাকায় বেশ কিছু অরক্ষিত বা ভালনারেবল জায়গা চিহ্নিত করেছে বিএসএফ যেগুলি দিয়ে সীমান্ত-অপরাধ হচ্ছে। চিহ্নিত জায়গাগুলোতে প্রহরীরা তো থাকবেনই আগের মতো, কিন্তু তার সঙ্গে সমন্বিত একগুচ্ছ অন্য ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
নতুন সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় একসারি কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হবে এবং একই সঙ্গে নজরদারির জন্য একাধিক বৈদ্যুতিক যন্ত্র এবং অত্যাধুনিক ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সঙ্গে প্রহরীদের সতর্ক করার জন্যও কিছু যন্ত্র লাগানো হয়েছে।
নতুন এই সমন্বিত ব্যবস্থাপনাকে বিএসএফ বলছে ‘ইলেকট্রনিক সারভেইল্যান্স অ্যাট ভালনারাবেল প্যাচেস– ইএসভিপি’ বা ‘অসুরক্ষিত এলাকাগুলির জন্য বৈদ্যুতিক নজরদারি’ ব্যবস্থা।
আবার সীমান্ত লাগোয়া ১৫০ মিটার বসতি খালি করে দিয়ে সেখানকার মানুষদের অন্যত্র জমি দেওয়ার জন্য আলোচনাও চলছে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকা খালি করে দেওয়ার পরেই সেখানে ইএসভিপি ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে।