30 C
Dhaka
Thursday, February 20, 2025

পাওনা টাকা চাওয়ায় ভিক্ষুকের স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

মৌলভীবাজারের সদর উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় হামিদা বেগম নামে এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুরুষ মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) উপজেলার ১০ নম্বর নাজিরাবাদ ইউনিয়নের আগনসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামিদা বেগম আগনসী গ্রামের ভিক্ষুক আবু হোসেনের স্ত্রী। পুরুষ মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা।

হামিদা বেগম বলেন, এক বছর আগে প্রতিবেশি পুরুষ মিয়াকে ২০ হাজার টাকা আরেক আত্নীয়ের কাছ থেকে এনে ধার দিয়েছি। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পুরুষ মিয়া টাকা পরিশোধ করেননি। বৃহস্পতিবার পুরুষ মিয়ার মাকে বিষয়টি জানাই। এতে তিনিক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। বৃষ্টির মধ্যেও বাহিরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে সে।

আরও পড়ুনঃ  তনির স্বামী মারা যাওয়া নিয়ে যা জানালেন তনি

জালাল মিয়া নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এর আগেও পুরুষ মিয়া বিভিন্ন কারণে হামিদা বেগমের বাড়িতে হামলা করেছে। আমরা কয়েকবার বিচার করেছি। আজকের হামিদা বেগমকে বাড়ি থেকে ধরে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে। আইনিভাবে তার বিচার হওয়া প্রয়োজন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোহেল বলেন, আমি সকালে খবর পাই পুরুষ মিয়া হামিদা বেগমকে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি হামিদা বেগম গাছের সঙ্গে বাঁধা। এ সময় হামিদা বেগমের ভাই বোনকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুরুষ মিয়ার সঙ্গে মারামারি লেগে যায়। তাদের থামিয়ে চেয়ারম্যনকে বিষয়টি জানাই এবং পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে হামিদা বেগমকে উদ্ধার করে। পুরুষ মিয়াকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  এক লাফে যত হলো তেল-চিনির দাম!

এ ব্যাপারে জানতে পুরুষ মিয়ার মোবাইলে ফোন করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

১০ নম্বর নাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আহমদ বলেন, আজ সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে ঘটনাটি জানায়। ছোট একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পুরুষ মিয়া তিনি একটু খারাপ ধরনের মানুষ। পুরুষ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম উদ্ধার করি। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুরুষ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আমি ভিকটিম হামিদা বেগমকে মুক্ত অবস্থায় পেয়েছি। আমরা যাওয়ার পূর্বে তার বাঁধন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকার লোকজন বলছে হামিদা বেগম গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল। ভিডিওতে বাঁধা অবস্থায় দেখেছি। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ