28 C
Dhaka
Sunday, October 19, 2025

২৭ জেলায় ঢুকে পড়েছে রাসেলস ভাইপার

বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর অন্যতম রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। বহু বছর দেখা না গেলেও ২০১২ সালের পর বরেন্দ্র এলাকায় চোখে পড়ে এই সাপের। তবে গত এক বছর ধরে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঞ্চলে।

বর্তমানে দেশের ২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এই তথ্য সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের। গবেষকেরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ছড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার। এই সাপের কামড়ে দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন।

আরও পড়ুনঃ  তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আ.লীগ?

রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি—এসব জেলায় ছড়িয়ে রাসেলস ভাইপার।

রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে। দেড় বছরে এ সাপের কামড়ে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।

গবেষকেরা বলছেন, মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপারের। এটিই একমাত্র বিষধর সাপ, যে বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে জন্ম নেয় ৪০ থেকে ৫০টি বাচ্চা।

আরও পড়ুনঃ  ইরানে হামলা নিয়ে ইসরায়েলের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস!

ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ‘ভারতবর্ষের যে অংশটা আমাদের রাজশাহী এলাকার সঙ্গে লাগোয়া, ওই অঞ্চল হয়ে পানির সঙ্গে স্রোতের মাধ্যমে গঙ্গা পদ্মা হয়ে সেটা এখানে চলে এসেছে। দেখা গেছে যে এই নদীর মাধ্যমেই ছড়িয়ে গেছে। এগুলো পদ্মার নিচের দিকের এলাকায় যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে উপরের এলাকাতেও।’

এরই মধ্যে ৫০টি রাসেলস ভাইপার সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলছে এন্টি ভেনম তৈরির গবেষণা। বর্তমানে এই সাপে কাটলে দেওয়া হয় ভারতে তৈরি এন্টি ভেনম।

আরও পড়ুনঃ  হাইতিতে কালোজাদুতে সন্তানের মৃত্যুতে ১৮০ জনের প্রাণ নিলেন গ্যাংস্টার বাবা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘নিজস্ব সাপের বিরুদ্ধে যখন নিজস্ব অ্যান্টি ভেনম তৈরি হবে, তখন আমরা বলতে পারব আমরা এই সাপে কাটা রোগীদের সঠিক সেবা দিতে পারছি। এর আগ পর্যন্ত আমাদের ভারতের অ্যান্টিভেনমের ওপর ভরসা করে থাকতে হবে।’

কিছুটা অলস প্রকৃতির রাসেলস ভাইপারের প্রধান খাবার ইদুর, ব্যাঙ, পোকামাকড়। তাই ফসলি জমিতে দেখা যায় একে। ফলে, আতঙ্কে অনেক এলাকার কৃষক।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ